প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন তৃণমূলের নানা নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা আত্মসাৎ করে কোটিপতি হচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। কিন্তু এবার আর দূর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ নয়, এবার খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি আসানসোল একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা ব্যবসায়ী কৃষ্ণ প্রসাদ। স্বাভাবিকভাবেই যখন তৃণমূল স্বচ্ছতার প্রশ্নে বিন্দুমাত্র মাথানত করতে নারাজ, ঠিক তখনই এক তৃণমূল মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আসায় শাসকদল কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়ল।

এদিন কৃষ্ণপ্রসাদ বাবু বলেন, “আমার সমাজকল্যাণমূলক কাজ মলয় ঘটকের রাজনৈতিক পথে বাধার কারণ। তৃণমূল নেতা উৎপল সিনহা আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।” স্বভাবতই গোটা ঘটনায় এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিতর্ক। কিন্তু কেন মলয়বাবুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল? জানা গেছে, কৃষ্ণপ্রসাদবাবু আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের নিজের পৈতৃক জমিতে একটি সমাজ সেবামূলক ক্লাব তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু সেখানেই স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপরই সেই ব্যবসায়িকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি ব্যাপকমাত্রায় তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে তৎপর, ঠিক তখনই এক সাধারণ ব্যবসায়ী অভিযোগের তীর রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দিকে থাকায় তৃণমূল প্রবল সমস্যায় পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে যেহেতু রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ একজন সাধারণ ব্যবসায়ী করেছেন, সেহেতু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন আদৌ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। তবে প্রশাসন যদি এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এবং গোটা ঘটনাটির তদন্ত না করে, তাহলে সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধীরা যে পথে নামবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।