ভোট বড় বালাই, আর তাই করোনার ভয়কে একপ্রকার জয় করেই ২০২১ এর বিধানসভাকে লক্ষ্য করে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল বিজেপি দুই শিবির। দুই পক্ষই ক্রমাগত দুই পক্ষের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে আসছে। আর করোনা ভাইরাস এর মহামারী প্রকোপের মধ্যেই আবারো যুযুধান লাউডগা থানার পানছড়ি । তৃণমূল-বিজেপি দুই হেভিওয়েটের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম এলাকা।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে , লাউডগা থানার পানছড়িতে দলীয় নেতা মারধর করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আক্রান্ত দলীয় নেতাকে দেখতে গিয়ে গ্রামে ঢুকতে বাধা এবং থানা থেকে বেরোনোর পরে দলের জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই তৃণমূল কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির।

যদিও বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে , এলাকায় জমি হারাচ্ছে বুঝতে পেরে রুষ্ট তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের তরফে এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জন্য লক্ষণ ঘড়ুই সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পাণ্ডবেশ্বর তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি দিকে।

শুধু তাই নয় সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে এই ঘটনার জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত করছে। 2016 বিধানসভা ভোটে 46 শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে ছিল তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র 9 শতাংশ ভোট। কিন্তু 2019 এর লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রায় 44. 75 শতাংশ ভোট পায়। সেই বছর তৃণমূলের এই বিধানসভা এলাকায় ভোট হয় 40.91 শতাংশ।

লক্ষণ বাবু এই নিয়ে বলেন যে , লোকসভা নির্বাচনে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করেও জায়গা ধরে রাখতে পারেনি সেখানকার বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই রাগ থেকেই হামলা। ব্লক তৃণমূল নেতা সুজিৎ মুখোপাধ্যায় নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছিল।

এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুজিত বাবুর পাল্টা দাবি , এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেছিলেন। এর পাশাপাশি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাদের দলের কোনো যোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

তবে এইভাবে সরাসরি তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তলায় এই নিয়ে জল যে অনেকদূর গড়াবে তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিকমহল। এখন দেখার বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি কি করেন এর পাল্টা হিসাবে।