এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় বালি পাচার ও তৃণমূলের আগ্রাসন রুখতে ‘বিতর্কিত’ দাওয়াই সৌমিত্রর! ঝড় রাজ্য-রাজনীতিতে

বাংলায় বালি পাচার ও তৃণমূলের আগ্রাসন রুখতে ‘বিতর্কিত’ দাওয়াই সৌমিত্রর! ঝড় রাজ্য-রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এতদিন শুধুমাত্র সাংসদ ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তবে সাংসদ থাকার সময় থেকেই তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাকে। আর এবার দলের সংগঠনের দায়িত্ব পেয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে ময়দানে নেমে করলেন এই বিজেপি সাংসদ। আর দ্বায়িত্ব পেয়েই বেলাগাম হয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেন সৌমিত্র খাঁ।

এদিন খানিকটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পথেই তৃণমূলকে একহাত নেন তিনি। দুদিন আগেই দিলীপ ঘোষ বদলা নেবেন বলে দাবি করেছিলেন, এবার সেই সুরে সুর মিলিয়ে এবার চোখ উপড়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যা জেরে শুরু বিতর্ক। জানা যাচ্ছে আজ, শনিবার বাঁকুড়ায় যুব মোর্চার ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়েছিলেন আর সেখানেই তিনি তৃণমূলকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, বিজেপিকে চোখ রাঙালে, সেই চোখ উপড়ে নেওয়া হবে। এদিন বাঁকুড়া শহরের ধর্মশালায় যুব মোর্চা সভাপতির এই ভারচুয়াল সভায় বিজেপির যুব মোর্চার ২০ থেকে ২৫ জন দলীয় কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সৌমিত্র খাঁ বলেন, “বিজেপি করতে দেবেন না বলে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মন্ত্রী, জেলা পরিষদের মেন্টররা এলাকায় এলাকায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের দিকে চোখ রাঙাচ্ছেন। এবার বিজেপির যুব সম্প্রদায় সেই চোখ উপড়ে নেবে। আমরা আর চুপ করে বসে থাকব না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া শহরে এই কর্মসূচির পর সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন। এখানে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি ফের তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “লকডাউনের সময় বিগত তিন মাস ধরে বিষ্ণুপুর এলাকার নদ-নদী থেকে যেভাবে রাতের অন্ধকারে বালি পাচার হয়ে যাচ্ছে, তা হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হোক। আজ থেকে আমি গ্রামের যুবকদের বলব, রাস্তা কেটে দিন, বালিবোঝাই ট্রাক বের হতে দেবেন না এলাকা থেকে।”

তবে এই প্রথম নয়, দ্বায়িত্ব পেয়ে তিনি এমন বেফাঁস মন্তব্য আগেও করেছেন। যেমন – বারুইপুরে ত্রাণ বিলির এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, শুধুমাত্র রাজ্য সভাপতির অনুমতির অপেক্ষা। রাজ্য সভাপতি অনুমতি দিলেই বিজেপি কর্মীদের মারা হলে পাল্টা মার খেতে হবে। তাই সাবধান, কেউ বিজেপি কর্মীদের গায়ে ভুলেও হাত তুলবেন না। সাথেই জেলা পুলিশ সুপারকে চড় মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

এই মন্তব্যের জেরে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। তৃণমূলের দাবি এখনো বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি আর এর মধ্যেই এমন যদি ঔদ্ধত্য দেখায় তবে ক্ষমতায় এলে কি করবে সুতরাং সাধারণ মানুষ এই সব দেখে আর বিজেপিকে ভোট দেবে না। অন্যদিকে বিজেপির দাবি তৃণমূল যেমন তাদের সোজা কথা বললে কাজ হবে না, মারের বদলা মার তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সৌমিত্র। তবে রাজনৈতিকমহলের মতে, এইভাবে এইভাবেই তৃণমূলকে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলের অস্বতি বাড়াচ্ছেন সৌমিত্র খাঁ, এখন দেখার কি তৃণমূল কি পাল্টা দেয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!