বিধানসভায় ঘুরে দাঁড়াতে এখনও সংগঠন সাজাতে পারল না তৃণমূল! তীব্র চর্চা দলের অন্দরেই উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য November 8, 2019 আর কিছুদিন পরেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভায় তৃণমূলের উত্তরবঙ্গে ভরাডুবি হয়েছে। আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই ফুটে গিয়েছে পদ্মফুল। আর এরপরে দলের হার যাতে আর না আসে, তার জন্য দলীয় স্তরে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ঘাসফুল ফোটাতে নানা পরিকল্পনা শুরু করেছে তারা। তবে বিধানসভার আগে সামনেই পৌরসভা নির্বাচনে যাতে সমস্ত রাজনৈতিক দল ভালো ফল করতে পারে, তার জন্য স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই উদ্যোগী হয়েছে। তবে বিজেপি চা বাগানের ব্যাপকরটিকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামলেও তৃণমূল তেমনভাবে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে মোহন শর্মাকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মৃদুল গোস্বামীকে। আর দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মৃদুলবাবু এই আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূলের সাতটি ব্লক কমিটি ভেঙে দেন। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত ছটি ব্লকের সভাপতির নাম তৃণমূল ঘোষণা করতে পারেনি। যার ফলে পুরনো ব্লক তৃণমূল সভাপতিরা এখনও পর্যন্ত কাজ করে চলেছেন। কিন্তু নতুন ব্লক সভাপতিরা না বসা পর্যন্ত এই জেলার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজকর্ম অনেকটাই ভেস্তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে শুধু ব্লক কমিটি নয়, অঞ্চল কমিটি গঠনের কাজও বন্ধ রয়েছে বলে খবর। তবে বুথ কমিটি গঠনের কাজ চলছে। কিন্তু কেন এখনও পর্যন্ত ব্লক বা অঞ্চল কমিটি তৈরির কাজ শুরু হল না, তা নিয়ে কর্মী-সমর্থকরা অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু এই ব্যাপারে জেলা নেতৃত্ব অবশ্য সাফাই দিতেই ব্যস্ত। তাদের দাবি, ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারীর মৃত্যুর কারণেই এই সাংগঠনিক কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। তবে ফালাকাটায় অনিল অধিকারী ব্লক সভাপতি থাকলেও এবং তার মৃত্যু হলেও বর্তমানে সেই জায়গায় ব্লক কার্যকরী সভাপতি হিসেবে সন্তোষ বর্মন দল চালানোর কাজ করছেন। তাই সেদিক থেকে তৃণমূলের এই বাহানা কতটা খাটবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন মহলে। কর্মী-সমর্থকদের একাংশ বলেন, “বিধানসভা ভোট আসছে। তার আগে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার ভোট। ফলে দেরি না করে এখনই বিভিন্ন কর্মসূচিতে জেলা নেতৃত্বের নামা উচিত।” কিন্তু কেন এখনও কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না! এদিন এই প্রসঙ্গে কালচিনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসীম মজুমদার বলেন, “ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কমিটি ভেঙে দেওয়া হলেও ব্লক সভাপতি হিসেবে আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নতুন ব্লক সভাপতির নাম দলের জেলা সভাপতিই ঘোষণা করবেন।” কিন্তু সত্যি সত্যিই জেলা নেতৃত্ব যে ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুর কারণে সাংগঠনিক কাজকর্ম আটকে পড়েছে বলে কারণ দেখাচ্ছে, তা কি যথার্থ কারণ! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুলবাবু বলেন, “দল ঝিমিয়ে পড়েনি। আসলে পুজোর ব্যস্ততা এবং অনিলবাবুর মৃত্যুর জন্য দলের নতুন ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। চলতি মাসেই আমরা রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শ মত এই কমিটি গঠন করব।” কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যেখানে বিজেপির উত্তরবঙ্গে উত্থান ঘটছে, সেখানে তৃনমূলের সংগঠন তৈরির এই অনীহা বিজেপিকে অনেকটাই এগিয়ে দেবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -