এবার তৃণমূলের এই বিধায়ক কি যাচ্ছেন দিল্লি? যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে? জোর জল্পনা শুরু উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 12, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর মতো ‘জননেতা’ দল ছাড়লে যে দলের ক্ষতি হবে, সেটাও যেমন বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, ঠিক তেমনই এর পাশাপাশি বিভিন্ন নেতা মন্ত্রী যে দলে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন, সেই অনুভূতির কথাও অনেকে প্রকাশ করেছেন বলেই বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁদেরকে। সেইসঙ্গে তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে নিয়েও দলের অনেকেই যে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন তা ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল। তাই এবার এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে বলেই মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু সেখানে বিজেপি নিজেদের দলগঠনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও তৃণমূল যে অথৈ জলে, বাস্তব পরিস্থিতি তেমনটাই বলছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি কোচবিহার শহরে পূর্ত দফতরের বাংলোয় জেলার কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করতে দেখা গেছে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে। আপনার মতামত জানান - আর ওই বৈঠক থেকে বেরোনোর পরেই শাসক দলের ওই বিধায়ক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলেই জানা গেছে। এদিন তিনি বলেন, “কলকাতা থেকে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।” তবে এখানেই শেষ নয়, তাঁর পরবর্তী কর্মসূচি যে দিল্লি গমন, সেই কথাও বলেন তিনি। আর এরপরেই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এখানেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কিছুদিন আগে দিনহাটায় এক মিটিংয়ে বিধায়ক তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কো-অর্ডিনেটর উদয়ন গুহ যেখানে বলেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী গেলে তিনিও দিল্লি যেতে পারেন, সেখানে শুক্রবার তিনি এই ঘটনার সপক্ষে বলেন যে, “বিজেপিতে যাচ্ছেন, এমন তো আর কেউ বলেনি। বিজেপি কী বলছে জানি না। ওদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই।” তাই তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াকেও। এদিন তিনি বলেন, বিজেপি মনগড়া কথা বলে মিথ্যাচার করছে। তৃণমূল থেকে আর কেউ বিজেপিতে যাবেন না। তাই কে, কী বলছে তাতে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। এরই সঙ্গে জেলায় দলের এক শীর্ষনেতা জানান, ওই বৈঠকে নাকি সুব্রত বক্সি সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেইসঙ্গে দলীয় কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার দায়িত্বও ভাগ করে দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে এটা নিয়েই একজন ঊষ্মা প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি। তার জেরেই কেউ এমন কথা বলে থাকতে পারেন বলেও সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলায় ন’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০১৬ সালের নির্বাচনে আটটি আসনই তৃণমূল দখল করে। তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে বিধায়ক ফজলে করিম মিয়াঁ ছাড়া বাকি সব বিধায়কই সুব্রত বক্সির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে। তবে বৈঠকে এদিন শেষমুহূর্তে পৌঁছন অর্ঘ্যরায় প্রধান। সেইসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ও এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলেই জানা গেছে। যদিও তার মধ্যে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার বাকি সাত জন এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জেলার এক বিধায়কের দিল্লি যাওয়ার এই বার্তা তাই ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – https://www.youtube.com/watch?v=2C5GvSzqLxA # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -