এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল বিধায়ক ও মেয়রের প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রভাবশালী ঘাসফুল নেতা বন্ধ করে দিলেন খনির কাজ!

তৃণমূল বিধায়ক ও মেয়রের প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রভাবশালী ঘাসফুল নেতা বন্ধ করে দিলেন খনির কাজ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। কোথাও যাতে তৃণমূল নেতাদের নাম করে কেউ বা কারা অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে পড়েন, তার জন্য দলের পক্ষ থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার কথা বলা হচ্ছে। আর এরই মাঝে তৃণমূল বিধায়ক এবং তার প্রতিনিধি বলে এক ব্যক্তি কয়লা উত্তোলক সংস্থা বিসিসিএলের খনির কাজ বন্ধ করে দিলেন। আর এই অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি এলাকায়। কেন হঠাৎ করে এই ধরনের কাজ করা হল এবং তার সঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক এবং মেয়রের নাম যুক্ত করিয়ে নেওয়া হল, তা নিয়ে এখন নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 23 শে সেপ্টেম্বর থেকে বিসিসিএলের চার্চ ভিক্টোরিয়া এরিয়ার দামাগড়িয়া প্রকল্পের বড়িয়া খোলামুখ খনির কাজ বন্ধ করে রেখে প্রায় কুড়ি জন জমিদাতা অরবিন্দ চট্টরাজ নামে এক তৃণমূল কর্মীর নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। যেখানে খনি কর্তৃপক্ষ জমি নিলেও তাদের অনেককেই চাকরির নিয়োগপত্র দেননি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন জমিদাতারা। আর এই পরিস্থিতিতে গোটা অবস্থার সমাধান করতে শুক্রবার এই প্রকল্পের এজেন্ট রাজু গুপ্ত জমিদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

তবে আলোচনার মাঝে হঠাৎ করে তৃণমূল নেতা পরিচয় দিয়ে অরবিন্দবাবু সেখানে ঢুকে কুলটির বিধায়ক এবং আসানসোলের মেয়রের প্রতিনিধি বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে খনির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। আর এতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, অরবিন্দবাবু হুমকি দিয়েছেন যে, তৃণমূলের নির্দেশ অনুসারে জমি রেজিস্ট্রি করা না হলে এবং জমিদাতাদের চাকরি দেওয়া না হলে খনির কাজ চালু করতে দেওয়া হবে না।

আর নিজেকে তৃণমূল কর্মী পরিচয় দেওয়া অরবিন্দবাবু কুলটির তৃণমূল বিধায়ক এবং আসানসোলের মেয়রের প্রতিনিধি বলে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করানোয় এখন অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই দুই হেভিওয়েট নেতা। এভাবে তাদের নাম জড়িয়ে খনির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার যে হুমকি অরবিন্দবাবু দিয়েছেন, তাতে যে দল তৃণমূল কংগ্রেসও অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ল, তাও বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অরবিন্দবাবুর বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর। এদিকে এই ব্যাপারে জিএম সিদ্ধার্থশংকর দাস বলেন, “গত সোমবার পর্যন্ত 11 জন জমিদাতাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিদের নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদের ফাইল এখন হেডকোয়ার্টারে আছে। খুব দ্রুত সেগুলো ছাড়া হবে।” তবে দ্রুত কয়লা উত্তোলন শুরু করা না হলে বেসরকারি সংস্থা এলাকা ছেড়ে চলে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ।

আর এখানেই প্রশ্ন কেন, অরবিন্দ চট্টরাজ নামের তৃনমূল কর্মী এক তৃণমূল বিধায়ক এবং এক মেয়রের নাম যেভাবে জড়িয়ে নিলেন, তাতে তারা কি এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত? এদিন এই প্রসঙ্গে কুলটির তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বলবাবু বলেন, “ঠিক কী ঘটেছে খোঁজ নিচ্ছি। কর্তৃপক্ষকে জমিদাতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছি। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে কয়লা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হবে।” এদিকে এই ব্যাপারে আসানসোলের মেয়র তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে কাজ বন্ধ রাখা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়।” কিন্তু তিনি কেন এরকম করলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই অরবিন্দ চট্টরাজ বলেন, “জমিদাতারা ডেকেছিলেন বলেই তাদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। কোথাও মেয়র বা বিধায়কের প্রতিনিধি পরিচয় দিইনি। আমার বিরুদ্ধে খনি কর্তৃপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিধায়ক এবং মেয়রের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে তৃণমূল কর্মী যেভাবে খনির কাজ বন্ধ করে দিলেন, তাতে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!