এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ক্রমশ পাল্লা ভারী হচ্ছে তৃণমূলের বিদ্রোহী শিবিরে, চিন্তায় ঘুম উড়তে চলেছে শাসকদলের?

ক্রমশ পাল্লা ভারী হচ্ছে তৃণমূলের বিদ্রোহী শিবিরে, চিন্তায় ঘুম উড়তে চলেছে শাসকদলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজা বনাম রাজার যুদ্ধ সকলেরই জানা। কিন্তু এক রাজ্যের একাধিক সেনাপতি একসাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে সেই রাজার রাজ্যপাট যে বেশিদিন টেকসই হয় না, তা ইতিহাসের পাতায় উল্লেখিত রয়েছে। বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা ঠিক এরকমই। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি পৌরসভায় বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার পরেই সেখানে প্রশাসকমন্ডলী গঠন করে দেওয়া হয়। অন্যান্য পৌরসভার মত এখানেও বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহন বসুকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। উল্টে জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে সেই পৌরসভার প্রশাসক করে আরও বেশকিছু তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরকে সেখানে সদস্য করা হয়েছে। সেদিক থেকে মোহন বসু কোনো দায়িত্ব না পাওয়ায় জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যানীর বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছিলেন। এমনকি মোহন বসুর বাড়িতে বিজেপির অনেক প্রতিনিধি যাওয়ার পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনাও তৈরি হতে শুরু করে।

তবে তারপর তার মান ভাঙাতে গৌতম দেব থেকে শুরু করে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ময়দানে নামলে তিনি গোটা বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন মোহন বসু। যার ফলে জলপাইগুড়ি জেলায় জেলা সভাপতি বনাম প্রাক্তন চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ্য চলে আসে। আর এবার সেই দ্বন্দ্ব আরও চওড়া হতে শুরু করল। সূত্রের খবর, রবিবার চালসায় তৃনমূলের ব্লক পর্যায়ের প্রথম সারির কিছু নেতা একটি বৈঠক করেন। যেখানে জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি যাননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জেলা সভাপতি পদে কিষান কল্যাণী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অনেককে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেন। যার ফলে অনেক ব্লক সভাপতি নিজেদের পদ থেকে সরে যাওয়ার পর জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে থাকে। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড গঠন হওয়ার পর মোহন বসু জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অনেক বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে টিম গঠন করতে শুরু করেন বলে খবর পাওয়া যায়। আর এমত পরিস্থিতিতে চালসার সেই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিসের কারণে এই বৈঠক? তার যাওয়ার কথা থাকলেও কেন তিনি সেখানে যেতে পারলেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে মোহন বসু বলেন, “চালসায় একটি সভা হয়েছে। সেখানে ব্লক নেতৃত্ব, ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা ছিলেন। আমারও ওই বৈঠকে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারিনি। জেলায় তৃণমূলকে বাঁচাতে আমি কিষান হটাও ডাক দিয়েছি। ওই এজেন্ডার উপরেই বৈঠক ছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব যদি দ্রুত জেলা সভাপতির পদ থেকে ওনাকে না সরায়, তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।”

অর্থাৎ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মোহন বসু যে সমস্ত বিদ্রোহী নেতাদের একত্রিত করে রাজ্য নেতৃত্ব দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তার কাজ শুরু করে দিয়েছেন, তা এই বৈঠক থেকেই পরিষ্কার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বা তার বিরুদ্ধে এই বৈঠক হলেও তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী। এদিন তিনি বলেন, “আমি দলকে মজবুত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

তবে কিষানবাবু যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে মোহন বসু সকলকে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে এককাট্টা করতে চলেছেন, তাতে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে। যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জেলায় বড়সড় বিড়ম্বনায় পড়তে পারে ঘাসফুল শিবির বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন সমস্যা মেটাতে শীর্ষ নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!