বীরভূমের লাভপুরে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ল মনিরুলের! জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য July 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বীরভূমের লাভপুরে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা বারেবারে বিতর্কিত স্থান দখল করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। একসময়ের তৃনমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই লাভপুরের ঘটনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবার এই ঘটনায় রবিবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বর্তমানে প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর এই ঘটনায় মনিরুল ইসলাম যে এবার ব্যাপক চাপে পড়তে চলেছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় শনিবার সন্ধ্যায় ভাটরা গ্রামের জমি থেকে তৃনমূল কর্মী সহদেব বাগদির গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মূলত সেদিন তিনি চাষের জমিতে যাওয়ার পর আর বাড়িতে ফেরেননি। এদিকে তৃণমূল কর্মী সহদেব বাগদীর মৃত্যুর পরেই তার ছেলের পক্ষ থেকে লাভপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মূলত কি কারনে তৃণমূল কর্মীর গলাকাটা মৃতদেহ পাওয়া গেল, তা নিয়ে এখন তীব্র রহস্য দানা বেঁধেছে লাভপুরে। জানা গেছে, এই ঘটনার আগে এই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা শ্মশানের কাছে বসে মদ্যপান করছিলেন। সহদেববাবুর পরিবারের অভিযোগ, সেই পাঁচজন ব্যাক্তিই সহদেব বাগদীকে খুন করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে সহদেববাবুর ছেলে সোমনাথবাবু বলেন, “চাষের কাজে বাবা মোষ নিয়ে জমিতে যান। সন্ধ্যার আগে মোষগুলি ফিরে এলেও তিনি ফেরেননি। এরপর আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে জমিতে কাদাজলের মধ্যে বাবার দেহ পড়ে থাকতে দেখি।” পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে, মনিরুল ইসলামের ভাই আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এদিকে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মনিরুল ইসলামের তরফে অবশ্য এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাহলে কি বর্তমানে যেহেতু মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে, তাহলে কি বিজেপি এই ঘটনায় আরও চাপে পড়ল? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “গত চার মাস আগে খুন হওয়া এই এলাকারই এক নেতার গোষ্ঠীর সঙ্গে রয়েছে পাঁচ অভিযুক্ত। ফলে সহদেবাবুর এই খুনের ঘটনা তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। মনিরুল সাহেবের নাম অযথা জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।” যদিও বা এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে ঠিবা অঞ্চলের তৃনমূলের সভাপতি সাহিন কাজি বলেন, “অভিযুক্তরা বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। আমরা চাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যাবস্থা করুক।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে গোটা পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তাতে চাপে পড়ছে বিজেপি। কেননা মনিরুল ইসলাম বর্তমানে তাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে পরিচিত। তাই যেভাবে এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো এবং তাতে নাম জড়িয়ে পড়ল বিজেপির মনিরুল ইসলামের, তাতে তৃণমূল এখন বিজেপিকে কোণঠাসা করতে অনেকটাই উদ্যত হয়েছে। পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে লাভপুরের এই ঘটনা রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বীরভূমে। আপনার মতামত জানান -