এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জেলাস্তরে বিজেপিকে ধুয়েমুছে সাফ করে দিতে এবার আসরে নামছে তৃণমূল! বাড়ছে জল্পনা

জেলাস্তরে বিজেপিকে ধুয়েমুছে সাফ করে দিতে এবার আসরে নামছে তৃণমূল! বাড়ছে জল্পনা


 

বড় ঘটা করে জেলা পরিষদের 10 জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন বিপ্লব মিত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে জেলা তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে সরানোর পর, তিনি তৃণমূল ছেড়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, তিনিই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শেষ কথা বলেন। কিন্তু যত দিন গিয়েছে, ততই জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষের চালে কুপোকাত হয়েছেন সেই বিপ্লব মিত্র। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ একাধিক কর্মাধ্যক্ষ বিজেপির বাগে থাকলেও, যতদিন যাচ্ছে, ততই তারা তৃণমূলে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।

ইতিমধ্যেই বিপ্লব মিত্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় ফিরে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বেশকিছু কর্মাধ্যক্ষ এবং সদস্য এখনও পর্যন্ত বিজেপির দিকে থাকায় জেলা পরিষদের কিছু কাজে জটিলতা রয়েছে। তাই সেদিক থেকে সেই সমস্ত সদস্যদের নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির।

আর যদি তৃণমূল কংগ্রেস তাদের এই চেষ্টায় সফল হয়, তাহলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিপ্লব মিত্রের মুখ যে পুড়তে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসে এলেও, কিছুদিন আগেই বিজেপির নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বিজেপি ছেড়ে নির্দল হয়ে গেছেন জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ মফিজউদ্দিন মিয়া। ফলে তিনি তৃণমূলে যোগদান করবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়া অনেকে তৃণমূলে চলে গেলেও, এখনও পর্যন্ত বিজেপিতেই আছেন কৃষি কর্মাধ্যক্ষ শংকর সরকার, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ চিন্তামণি বিহা এবং জেলা পরিষদের সদস্য প্রতিভা সরকার। ফলে তারা কি করবেন! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। তবে শঙ্করবাবু বিজেপিতে সম্মান পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করায় এখন তাদের তৃণমূলে ফেরা যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ঘাসফুল শিবিরের একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপিতে থাকা সেই শংকর সরকার বলেন, “এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে বিজেপি আমাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করছে। তারা আমাদের বিপদে পাশে নেই।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সদ্য তৃণমূলে আসা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় বলেন, “বিজেপিতে থাকাকালীন নিজেকে বড্ড একা লাগত। বিজেপিতে থাকার সময় কেউ আমাকে গুরুত্ব দেয়নি। পাশাপাশি জেলার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়েছিল। তৃণমূলে যোগদান করার পর উন্নয়ন শুরু করেছি। বাকিরা এখনও না ফেরায় কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। তারা যাতে আমাদের দলে দ্রুত যোগদান করেন, সেজন্য যোগাযোগ করব।” তাহলে কি বিজেপিতে থাকা জনাকয়েক কর্মাধ্যক্ষ এবং সদস্যরাও এবার তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, “আমাদের দলে সবার জন্য রাস্তা খোলা রয়েছে। জেলা পরিষদ ইতিমধ্যেই আমাদের দখলে চলে এসেছে। বাকিরাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দ্রুত জেলা পরিষদের 18 জন সদস্যই আমাদের হয়ে যাবেন।” কিন্তু একের পর এক বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়া সদস্যরা যদি এভাবে তৃণমূলে চলে যেতে থাকেন, তাহলে তো জেলায় বিজেপি অস্তিত্ব তলানিতে ঠেকবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, “কেউ যদি আমাদের সঙ্গে না থাকতে চায়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমাদের সদস্যদের অন্য দলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” তবে বিনয়বাবুর এই কথা নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা তৈরি হলেও, অনেকে বলছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিপ্লব মিত্রের কাছ থেকে তার ঘনিষ্ঠরা যেভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন, তাতে বিপ্লব মিত্রের অস্তিত্ব বিপন্নের মুখে পড়তে শুরু করেছে।

একাংশ আবার কৌতুক করে এটাও বলছেন, এবার বিপ্লব মিত্রেরও তৃণমূলে আশা শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে কি হবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়! বিজেপিতে যাওয়া সদস্যরা তৃণমূলে ফিরবেন, নাকি তারা বিজেপিতে থাকবেন! নাকি একেবারে বিপ্লব মিত্র সহকারে তারা যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসে! এইসব প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!