এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একই মঞ্চে বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক, একুশের আগে রাজ্য-রাজনীতিতে বাড়ছে নয়া জল্পনা

একই মঞ্চে বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক, একুশের আগে রাজ্য-রাজনীতিতে বাড়ছে নয়া জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে, সবে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ! কিন্তু বাস্তবে মানুষের মধ্যে সেই বিষয়টি কতটা প্রত্যক্ষ করা যায় সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক বিশ্লেষকরা। আবার তাঁদের কথায় সেটা যদি হয় রাজনৈতিক ক্ষেত্র তাহলে তো কথাই নেই। একসময় যেখানে বিশেষজ্ঞদের মত ছিল যে মানুষের স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রেই রাজনীতিতে দলের স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়, সেখানে বর্তমানে নাকি সেটা চোখেই পড়েনা বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।

তবে সম্প্রতি সেই অসাধ্যসাধন করতে দেখা গেল ডুয়ার্স অঞ্চলে। সেখানেই বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ককে এক মঞ্চে লক্ষ্য করা গেছে। আর যা নিয়ে চরম জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে জানা গেছে সেটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ বা দল নয়। কাল থেকেই শুরু হয়েছে ছট পুজো।

আর ডুয়ার্সের বানারহাট থানার অন্তর্গত ডায়না নদীর ছটপুজোর ঘাটেই একসঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেছে ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায়, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এবং জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়কে। আর এখানেই অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলেছেন যে, যেখানে রাজ্যে এই বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা একে অপরের মুখ দেখতে চান না। সেখানে এই ছবি সত্যিই ব্যতিক্রমী।

সেইসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই ঘটনার প্রশংসাও করেছেন। ছট পুজোর মঞ্চে শুরু উপস্থিত থাকাই নয়, সেইসঙ্গে বক্তৃতাও দিতে দেখা গেছে দুই সাংসদ ও বিধায়ককে। সেখানে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ককে দিদি বলে সম্বোধন করেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে তাঁকে ‘স্ট্রং লিডার অফ নর্থ বেঙ্গল’ বলেও মন্তব্য করেছেন বলে জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা জানিয়েছেন “এটা কোন রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। এটা একটি সামাজিক অনুষ্ঠান।” তাই পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে সব রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরাই এক সঙ্গে বসতে পারেন বলেই মনে করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, এটা রাজনৈতিক সৌহার্দ্য।

সেইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলেছেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সেখানে তাঁরা সবাইকে সঙ্গে নিয়েই চলতে চান বলেই জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় জানিয়েছেন, “এটাকে রাজনৈতিক সৌজন্য বলা যেতে পারে।”

তাঁর কথায়, উত্তরবঙ্গ তথা এই জেলায় আদিবাসী ও রাজবংশীদের মধ্যে একটা ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাই ভিন্ন রাজনৈতিক মতের হলেও জলপাইগুড়ির মানুষ ধর্মীয় যে কোন অনুষ্ঠানে সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। আর তাই তিনি সেদিন সেই কাজই করেছেন বলেও জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!