এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ১০ একাধিক হেভিওয়েট দলে, পা বাড়িয়ে আছেন আরও অনেকে – ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে আদি বিজেপি নেতা- কর্মীদের

১০ একাধিক হেভিওয়েট দলে, পা বাড়িয়ে আছেন আরও অনেকে – ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে আদি বিজেপি নেতা- কর্মীদের


লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের বিভিন্ন দল থেকে হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। সম্প্রতি মালদহের বাম বিধায়ক খগেন মুর্মু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।এমনকি মালদহের একটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে এসেই খগেন মুর্মু দাঁড়াতে পারেন বলেও বিভিন্ন মহলে জোর জল্পনা চলছে।

তবে সদ্য দলে আসা নেতাকর্মীদের যদি এখনই শীর্ষ পদে বসিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুরোনো দিনে গোড়া থেকে বিজেপি করে আসা নেতৃত্বদের মন ভাঙতে শুরু করবে বলে বিভিন্ন মহলে বিজেপির নেতা কর্মীরা এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। তবে বিজেপির তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, প্রার্থী তালিকায় যোগ্য ব্যক্তিরাই স্থান পাবেন।

কিন্তু এতেও যে দলের নেতাকর্মীদের একাংশের ভরসা নেই তা এদিন প্রমাণ হয়ে গেল বিজেপির মালদহ জেলার সভাপতি সঞ্জিত মিশ্রের বক্তব্য থেকেই। এদিন তিনি বলেন, “অনেক রাজনীতিবিদদেরই কথা এবং কাজের মধ্যে ফারাক রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সর্বদাই ভিন্ন ধারার রাজনীতি করে এসেছে। এখানে আদর্শই বড় কথা। কিন্তু এখন অন্য দল থেকে বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা বিজেপিতে আসতে শুরু করেছে। তবে সাধারণ মানুষের সমর্থনে যখন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছেছে, তখন এই সমস্ত নেতাদের কর্মী হিসেবে গ্রহণ না করে একেবারে শীর্ষস্তরে বসিয়ে দিলে ক্ষতি হতে পারে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কর্মীদের ক্ষোভের কথাটাই এদিন নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করেছেন মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র। কেননা রাজ্যের শাসক দল হোক বা বাম অথবা কংগ্রেস-বিভিন্ন দল থেকে হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা বিজেপিতে আসলে তারাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রার্থী হতে পারে বলে বিজেপির তরফে গুঞ্জন শুরু হলে কর্মীদের একাংশের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

গোড়া থেকে বিজেপি করে সেই সমস্ত নেতাদের হেনস্তার শিকার হয়ে যদি সেই নেতারাই এসে সেই দুর্দিনের বিজেপি কর্মীদের মাথার উপর বসে যায় তাহলে দলের পুরোনো কর্মীরা কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। আর যা দলের পক্ষে অত্যন্ত উঠতে পারে বলে বিভিন্ন সময়েই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিজেপি কর্মীদের।

আর সেই ব্যাপারটিকে মান্যতা দিয়ে যাতে দল বদল করা নেতারা বিজেপিতে একেবারে শীর্ষস্তরে না উঠতে পারে তার জন্য নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই তা প্রকাশ করলেন মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি। একাংশের মতে, সঞ্জিত মিশ্র নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মালদহের বাম বিধায়ক হিসেবে পরিচিত খগেন মুর্মুকেই খোঁচা দিয়েছেন। কেননা কদিন আগে কাস্তে হাতুড়ি ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে পদ্মফুলের পতাকা হাতে তুলেছেন তিনি। আর তারপর থেকেই মালদহ জেলার যেকোনো একটি লোকসভা আসনে তিনি দাঁড়াতে পারেন বিজেপির টিকিটে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আর এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই কোনোরূপ টিকিট যাতে কেউ না পায় সেজন্য পরোক্ষে দলকে পুরনো কর্মীদের কথা ভাবারই নির্দেশ দিলেন সঞ্জিতবাবু।এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মৌসম নূর তৃণমূলে যোগ দিয়ে মালদহ ফেরার পরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার নামে বাড়াবাড়ি হলেও বিজেপি এই কালচারে বিশ্বাস করে না। খগেন মুর্মুকে আমরা দলে স্বাগত জানাই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে তিনি পুরনো বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই কাজ করবেন। তবে আজকে যারা বিজেপিতে আসছে তাদের কৃতিত্বে বিজেপি তৈরি হয়নি। তাই যারা দলে আসছেন তাদের জন্য বিজেপি কখনোই বদলাবে না। বরঞ্চ বিজেপির জন্যই সেই সমস্ত নেতাদের বদলাতে হবে।”

তবে কোনো কিছুর প্রত্যাশায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। বিজেপির আদর্শ মেনেই পুরনোদের সাথে একসাথে মিলে তিনি কাজ করবেন বলে জানান সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া খগেন মুর্মু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!