এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > তৃণমূল বিজেপির দলত্যাগী প্রার্থীদের “টার্গেট” করেই মালদা উত্তরে আসন ধরে রাখতে “কনফিডেন্ট” হাত শিবির

তৃণমূল বিজেপির দলত্যাগী প্রার্থীদের “টার্গেট” করেই মালদা উত্তরে আসন ধরে রাখতে “কনফিডেন্ট” হাত শিবির

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের হিড়িকে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। কখনও কংগ্রেস থেকে তৃণমূল আবার কখনও বা তৃণমূল এবং সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগদান – রাজ্য রাজনীতির এই টালমাটাল সমীকরণ ঠিক কোন পরিস্থিতি তৈরি করবে তা নিয়ে ভাবিত সব মহলই।

তবে দলবদলের এই হিড়িকে উত্তর মালদহ লোকসভা আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে কার্যত নিশ্চিত হাত এবং কাস্তে হাতুড়ি শিবির। বস্তুত, একসময়ের মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা বিগত 2014 সালে এই উত্তর মালদহ লোকসভা আসন থেকেই কংগ্রেসের টিকিটে জিতে এমপি হওয়া মৌসম বেনজির নূর কদিন আগেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বর্তমানে তিনি উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী।

আবার অন্যদিকে দীর্ঘ বছর ধরে সিপিএমের বিধায়ক থাকলেও সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেছেন খগেন মুর্মু। আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তর মালদহ লোকসভা আসন থেকেই তিনি বিজেপি প্রার্থী। আর দলবদলুদের নিয়ে এসে এইভাবে বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থী করায় সেই সমস্ত প্রার্থীদের নৈতিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে এই আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দীর্ঘদিন কংগ্রেস থেকে বিধায়ক এমপি হলেও যেভাবে দলের সাথে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী মৌসম বেনজির নূরকে কেউ ভোট দেবেন না বলে আত্মবিশ্বাসী জেলা কংগ্রেসের অনেক নেতাই। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, “অনেক প্রবীণ নেতাকে বাদ দিয়ে মৌসমকেই আমরা বিধায়ক এবং এমপি করেছিলাম। কিন্তু যেভাবে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলেন তা সকলের কাছে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। আমরা নির্বাচনে প্রচারে এই বিষয়টিকে সামনে আনার পাশাপাশি সিপিএমের প্রতিকে জেতা তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েও যেভাবে তিনি বিজেপিতে গেলেন তাও বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। আমরা আশা করছি এই দুইজনকেই উত্তর মালদহ লোকসভা আসনের মানুষ উচিত জবাব দেবে।”

অন্যদিকে সদ্য দলবদল করা মৌসম নুর ও খগেন মুর্মুকে তৃণমূল এবং বিজেপির তরফ প্রার্থী করা হলে এদিন তাদের বিরুদ্ধে তোপ দেখেছে বামফ্রন্ট। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “আমরা প্রচারে দলত্যাগী এমপি এবং বিধায়কের মুখোশ খুলে দেব। মানুষের দরবারে গিয়ে আমরা বলব যে, যাদের ন্যূনতম নৈতিকতা নেই তাদের নির্বাচিত করা মানে অনৈতিকতাকে সমর্থন করা। আমাদের বিশ্বাস মানুষ এই বিশ্বাসঘাতকদের উপযুক্ত জবাব দেবে।”

কিন্তু প্রাক্তন দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ শানালেও এই ব্যাপারে তেমন ভাবে পাত্তা দিতে নারাজ উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর এবং বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। এদিন এই প্রসঙ্গে মৌসম বেনজির নূর বলেন, “রাজ্যে বিজেপির উত্থান রুখতে আমি বারবার কংগ্রেস নেতৃত্বকে তৃণমূলের সঙ্গে যৌথভাবে লড়াই করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা তৃণমূলের হাত ধরতেই রাজি হয়নি। সারা দেশে বিজেপি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইকন। তাই তার সঙ্গ নিয়েছি। মালদহের মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, “এক সময় কংগ্রেসের আক্রমণে সিপিএম কর্মী শহীদ হয়েছিল। সেই কংগ্রেসের হাত ধরে সিপিএম মানুষকে ঠকিয়েছে। সারাদেশে বিজেপির সমর্থন এখন জনজোয়ারে তৈরি হয়েছে। তাই সিপিএম আর কংগ্রেসের এই প্রচার মানুষ কোনো ভাবেই মানবে না।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য রাজনীতিতে দল বদলির হিড়িকে কখনও তৃণমূল থেকে বিজেপি, আবার কখনও বা সিপিএম থেকে বিজেপি, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তৃণমূলে যোগদান – আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই দলবদলুদের বিশ্বাসঘাতক বলে বাম এবং কংগ্রেসের প্রার্থীরা যে কিছুটা হলেও বাজিমাত করবে সে কথা বলাই যায়। তবে রাজ্যে সেইভাবে দলীয় সংগঠন না থাকার কারণে তারা কতটা সাফল্য পাবে তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!