এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও বিজেপিকে পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গড়তে দিচ্ছে না তৃণমূল, আজ চূড়ান্ত লড়াইয়ের ডাক গেরুয়া শিবিরের

সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও বিজেপিকে পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গড়তে দিচ্ছে না তৃণমূল, আজ চূড়ান্ত লড়াইয়ের ডাক গেরুয়া শিবিরের

“বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী” – বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে যেন এই কথাটাই বারে বারে ফিরে আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধীদল বিজেপির দড়ি টানাটানি থামছে না কিছুতেই। আর এবার কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে গিয়ে বনধের ডাক দিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু হঠাৎ কেন এই বনধ! তা জানার জন্য ফিরে যেতেই হবে একটু অতীতের দিকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির 25 টি আসনের মধ্যে বিজেপি 13 টি ও তৃণমূল 12 টি আসন পায়। আর এরপরই এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের জন্য গত 4 ই সেপ্টেম্বর প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।

এদিকে 22 শে জানুয়ারি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হবে বলে জানা গেলেও গত রবিবার সেই বিজেপি এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের চিঠি দিয়ে সেই বোর্ড গঠনের ব্যাপারে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর এতেই প্রশাসন ও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি। জানা যায়, গত রবিবার কেশিয়াড়িতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে কেশিয়াড়ি বনধের ডাক দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এই বনধকে ঘিরে কেশিয়াড়িতে ফের অশান্তির আশঙ্কায় নিজেদের সমস্ত দিক রক্ষা করতে তৎপর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে খড়গপুর এসডিও সুদীপ সরকার বলেন, “বনধের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন খবর নেই। কাগজ পড়ে জানতে পেরেছি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সমস্ত ব্যবস্থা নেবে।” অন্যদিকে এই বনধ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাশ বলেন, “রাস্তায় নেমে এই বনধকে সফল করা হবে। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে যদি তৃণমূল সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে মানুষই তার উপযুক্ত জবাব দেবে। এই কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের ব্যাপারে আমাদের দলের প্রতিনিধিরা কলকাতা হাইকোর্টেও গেছেন। সেখানে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

এদিকে বিজেপির ডাকা এই বনধকে ভেস্তে দিতে সক্রিয় শাসক দলের নেতা কর্মীরাও। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমরা রাস্তায় নেমে বন্ধ মোকাবিলা করব। কোথাও কোনো বিরোধে যেতে চাই না, কিন্তু বিজেপি যদি বনধের নামে সন্ত্রাসের চেষ্টা করে, তাহলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে এবার কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের দিন পিছিয়ে যাওয়ায় বনধের রাস্তায় হাটল গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!