এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার দিলীপ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুললো বঙ্গ বিজেপি!

এবার দিলীপ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুললো বঙ্গ বিজেপি!


একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ। এই দুইয়ের মধ্যে দিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা বাংলার। করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকদিন আগে থেকেই লকডাউন চলায় সেভাবে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি করতে পারছে না। তবে বর্তমানে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখা যাওয়ায় এখন ধীরে ধীরে ময়দানে নামতে শুরু করেছে সেই রাজনৈতিক দলগুলো।

এবার তৃণমূলের হাতে বিজেপি নেতৃত্বের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল হুগলির উত্তরপাড়ায়। প্রসঙ্গত, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপানের দাপটে কলকাতা, দুই 24 পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ বিভিন্ন এলাকা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুগলি জেলার বেশ কিছু এলাকায় এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা ও পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তবে এত বড় ঝড় হওয়ার পর বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে যে অনেকটাই সময় লাগবে, তা বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে।

কিন্তু এরপরেও পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় সাধারন মানুষের বিক্ষোভ প্রশাসনকে অস্বস্থিতে ফেলেছে। এদিকে এমন একটা পরিস্থিতিতে সম্প্রতি হুগলির উত্তরপাড়ায় আসেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু এবং শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামল বসু। অভিযোগ, তাদেরকে ব্যাপক ভাবে আঘাত করা হয়। আক্রমণ চালানো হয় তাদের গাড়ির উপরে।

যে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। আর এতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে হুগলি জেলা জুড়ে। এদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতি আক্রমণের অভিযোগ তুলে এখন শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দেখা গেছে, এদিন দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণের অভিযোগ তুলে শ্রীরামপুর, কোন্নগর, জাঙ্গিপাড়া সহ হুগলির বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবিলম্বে যাতে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়, তার ব্যাপারে দাবি করেন তারা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “আমপানের পর বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের বেশকিছু কার্যকর্তা আক্রান্ত এবং গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বহু মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি হুগলিতে এসেছি। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেবে না। আমাদের নেতৃত্বদের শারীরিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের সামনে পুরো ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।”

এদিকে দুর্গত এলাকায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে যেতে না দেওয়া নিয়েও সরব হন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। একটা দিলীপ ঘোষকে আটকালে রাস্তায় 10 হাজার দিলীপ ঘোষ নামবে। এর জবাব তৃণমূল নির্বাচনে পাবে।” কিন্তু সত্যি সত্যিই কি বিজেপি নেতৃত্বদের প্রতি আক্রমণের জন্য তৃণমূল দায়ী? যেভাবে বিজেপি এই ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করছে, তাতে কি শাসকদল চাপে পড়ল?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, “ভয়াবহ দুর্যোগের পর আমাদের দলের ও পৌরসভার কর্মীরা মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে বিজেপি অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। শুক্রবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং তার দলবল ও সিপিএম নেতাদের একাংশ পৌরসভার কর্মীদের মারধর করে। তাদের জিনিসপত্র ফেলে দেয়। এই খবর পাওয়ার পরেই আমি ঘটনাস্থলে যাই। ততক্ষণে উত্তেজিত জনতা বিজেপি নেতৃত্বের উপর চড়াও হয়েছে।

সায়ন্তন বসু ও বিজেপি নেতৃত্ব মানুষকে উস্কে দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। আমি একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মানুষ মেরে ওদের হাড়গোড় সোজা করে দিত।” অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে অস্বীকার করা হলেও, যেভাবে বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের উপর আক্রমণের অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তাতে রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী তরজা আবার চরম আকার ধারণ করছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!