এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূল ও বিজেপিকে একত্রে আক্রমণ করে ভোটে লড়া নিয়ে বড়সড় ঘোষণা অধীরের

তৃণমূল ও বিজেপিকে একত্রে আক্রমণ করে ভোটে লড়া নিয়ে বড়সড় ঘোষণা অধীরের


প্রদেশ সভাপতি পদ হারানোর পর বেশ কিছুদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল বা কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে বিরুদ্ধে তেমন ভাবে কটাক্ষ করতে দেখা যায়নি অধীর চৌধুরীকে। কিন্তু রাজনীতির অংক বড়ই কঠিন। তাইতো এবার লোকসভার দামামা বাজতে না বাজতেই ফের সেই রাজ্য এবং কেন্দ্রের শাসক দলকে তুলোধোনা করলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় বিভিন্ন সময়ে এই রাজ্যের বিরোধীরা শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, পুলিশ প্রশাসন দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এবার সেই পুলিশ প্রশাসন ইস্যুতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন অধীরবাবু।

সূত্রের খবর, গত কাল বহরমপুর জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ের এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, “আমার গর্ব যে আমি সঠিক লাইনে রয়েছি। দিদির গোটা পুলিশ ও তৃণমূল আমাকে টাইট করেছে, এটা আমি আগে থেকেই জানি। মুর্শিদাবাদের সব থানা, পুলিশ সুপার এবং নবান্ন আমাকে হারাতে সবরকম চেষ্টা করবে। কিন্তু আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করছি।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, একদা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এই মুর্শিদাবাদে তৃনমূলের শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে এখন ফুটেছে ঘাসফুল। একের পর এক নির্বাচনে এখানে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। এবারে সেই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার করতে কি লোকসভার আগে থেকেই সেই তৃনমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অধিরবাবু?

এদিন কেন্দ্রের রাফায়েল দুর্নীতি নিয়ম মুখ খোলেন বাংলার এই কংগ্রেস নেতা। জানা যায়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশজুড়ে রাফায়েল ইস্যুতে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস। কিন্তু সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির বিরোধিতা করলেও তা নিয়ে কোনো মুখ খোলেননি এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ইস্যুতেও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী।

এদিন তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে যখন রাফায়েল দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ চলছে, ঠিক তখনই মোদি বিরোধী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিরব। কেন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন না? তাহলে কি রাফায়েল কোনো দুর্নীতি নয়?”

পাশাপাশি অন্যান্য সমস্ত বিষয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে গর্জে উঠলেও কেন রাফায়েল বিষয়ে সেই ফেসবুকে কোন রকম মন্তব্য করছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সেই প্রশ্নও তোলেন মুর্শিদাবাদের এই কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি জঙ্গলমহলের লালগড়ে 7 লোধা-শবরের মৃত্যুতে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মদ্যপানেই মৃত্যু হয়েছে এই সাতজনের।

এদিন সেই প্রসঙ্গেও রাজ্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী 2000 গামে মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দিচ্ছেন। আর মদ খেয়ে মৃত্যু হলে বলছেন মদ খেয়ে মারা গেছে। সারা বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এরজন্য লিভার রোগে ভুগতে হবে।”

পাশাপাশি পাহাড়ের মত এই জঙ্গলমহলে লোধা শবর দের জন্য আলাদা বিকাশ পরিষদ গড়ে তোলারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু পাচার নিয়েও এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন মুর্শিদাবাদের এই কংগ্রেস বাদশা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অধীর চৌধুরী বলেন, “দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘরের লোক। যারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আত্মীয়, তারা মুখ্যমন্ত্রীরও আত্মীয়। তাই মুর্শিদাবাদ জেলাতে এত গরু পাচার করা হয়।” সব মিলিয়ে এবার লোকসভা ভোট আসতে না আসতেই ফের কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজের রাজনৈতিক বোমা ছুড়লেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বাংলার কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!