এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল থেকে কেন বিজেপিতে নেওয়া হচ্ছে, কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে বিজেপি সাংসদ

তৃণমূল থেকে কেন বিজেপিতে নেওয়া হচ্ছে, কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে বিজেপি সাংসদ


এক সময় বাম আমলের শেষের দিকে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাতার তলায় আসতে শুরু করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। আর এই বিপুল সংখ্যক কর্মীদের শক্তি নিয়ে গত 2011 সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার করে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দলবদল করা যে সমস্ত কর্মীরা তৃণমূলে এসেছিলেন, তাদের অত্যাচারে অনেক ক্ষেত্রেই অতিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছিল সাধারণ মানুষকে। তবে কথায় আছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়।

আর তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি এবং বিজেপির প্রবল উত্থানের পরই দিকে দিকে যে সমস্ত কর্মীরা তৃণমূলে থেকে এতদিন সেই বিরোধী দল বিজেপির ওপর আক্রমণ করত, সেই তারাই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরে এখন তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অনেক নেতাকেই।

সম্প্রতি বীরভূমের লাভপুরের তৃণমূলের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগদান করলে তাকে নিয়ে দলের অন্দরেই তীব্র সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এবার কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করতে না করতেই দিনহাটার তৃণমূল পরিচালিত মাতালহাট পঞ্চায়েতের প্রধান সহ 6 জন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের একশ্রেণীর ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে আসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, গত সোমবার এই সমস্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্যরা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু বিজেপির একশ্রেণীর অভিযোগ, তৃণমূলের সময় এই সমস্ত ব্যক্তিরা তাদের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা চালাতে। ফলে একসময় যাদের হাতে মার খেতে হয়েছে, তারাই যদি এখন বিজেপিতে আসেন তাহলে তৃণমূলের মতই অবস্থা হবে বিজেপির।

জানা গেছে, তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই সমস্ত ব্যক্তিদের সদস্য পদ বাতিলের দাবিতে আজ বিজেপি কর্মীদের একাংশ দিনহাটায় মিছিল করে। পরে তারা কোচবিহার জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে বিক্ষোভ দেখান। এমনকি এই সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের দলে প্রবেশ করানোর ব্যাপারে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি মালতি রাভার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির একাংশ।

কিন্তু কর্মীদের এই ক্ষোভকে তিনি কিভাবে এবার প্রশমন করবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই মালতী রাভা বলেন, “এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা মেটানো হবে।” সব মিলিয়ে এবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা কর্মীদের নিয়ে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি প্রকাশ্যে দলের সভানেত্রী এবং সাংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামতে দেখা গেল কোচবিহার জেলা বিজেপির একাংশকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!