এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের পথেই উপনির্বাচন গড় রক্ষায় মাঠে নামছে বিজেপি? কর্মসূচি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

তৃণমূলের পথেই উপনির্বাচন গড় রক্ষায় মাঠে নামছে বিজেপি? কর্মসূচি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

 

2016 সালে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপর বিধায়ক হিসেবে দীলিপবাবু দক্ষ সংগঠকের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পদ্মফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। যার ফসল সদ্য সমাপ্ত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির পেয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

তবে দিলীপ ঘোষ লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েও জয় পেয়ে বর্তমানে সাংসদ হয়েছেন। তাই তার ছেড়ে যাওয়া খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন হচ্ছে। যে কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে নিজেদের দখলে রাখতে তৃণমূল শুভেন্দু অধিকারীকে পথে নামিয়ে প্রার্থী প্রদীপ সরকারকে জয়যুক্ত করতে মরিয়া। আর পর্যবেক্ষক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী বারেবারে খড়্গপুরে এসে ওয়ার্ডগুলিতেও দলের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন। যার মাধ্যমে তৃণমূল অনেকটাই লাভবান হচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

কিন্তু 2016 সালে যে খড়গপুর বিধানসভা বিজেপির পক্ষে ছিল, 2019 এ সেই খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বিজেপি সেখানে প্রবল সমস্যায় পড়েছে। কিছুদিন আগেই এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে প্রেমচাঁদ ঝাকে। যাকে নিয়ে দলের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। দলের দীর্ঘদিনের কর্মী বলে পরিচিত প্রদীপ পট্টনায়েক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। আর তাই এবার একদিকে গোষ্ঠী কোন্দল কমাতে, আর অন্যদিকে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে শুভেন্দু অধিকারীর দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এবার বিজেপিও খড়গপুরের স্থানীয় স্তরে তাদের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে। সূত্রের খবর, খড়গপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে শনিবার বিজেপির তরফে একটি বৈঠক করা হয়। আর সেখানেই সাংগঠনিক নানা ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দলীয় সূত্রের খবর, খড়গপুরের উত্তর মন্ডলের পর্যবেক্ষক শুভজিৎ রায়, দক্ষিণ মন্ডলের পর্যবেক্ষক মদন রুইদাস এবং মধ্য মন্ডলের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অরূপ দাসকে। জানা গেছে, এরা প্রত্যেকেই দলের জেলা নেতৃত্ব। আর তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী ঠিক যে কায়দায় খড়্গপুরের সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন, সেই একই কায়দা এবার বিজেপিও গ্রহণ করল বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “শক্তিকেন্দ্র স্থলে ইনচার্জ থাকবেন। তারা সাংগঠনিক কাজকর্মের উপর নজর রাখবেন। দলের জেলার নেতাদেরই দায়িত্ব দেওয়া হবে।” তবে তাদের সাংগঠনিক কায়দা বিজেপি নকল করায় ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপি তৃণমূলকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না।”

পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “বিজেপি কাউকে অনুসরণ করছে না। খড়্গপুরে আমাদের মজবুত সংগঠন রয়েছে। আমরা তা আরও মজবুত করার চেষ্টা করছি।” তবে শাসক-বিরোধী এই তরজার মাঝেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, সাংগঠনিক কায়দা নকল করা কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু কার চাণক্যমতি বুদ্ধি সেই সাংগঠনিক কায়দাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে, এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!