এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃনমূল-বিজেপির চাপে ক্রমশ কোণঠাসা? বিধানসভার আগে ঘুরে দাঁড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ সিপিএমের?

তৃনমূল-বিজেপির চাপে ক্রমশ কোণঠাসা? বিধানসভার আগে ঘুরে দাঁড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ সিপিএমের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তাদের। তবে নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর সেভাবে রাজনৈতিক অক্সিজেন যোগাতে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি বাম শিবিরকে। যার ফলে গত লোকসভা নির্বাচনের সময়কালে সিপিএমের অনেক ভোট বিজেপিতে যাওয়ার কারণে সেই বাম শিবিরের জায়গা দখল করে নিয়েছে পদ্ম শিবির।

বর্তমানে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের রণকৌশল সাজাতে শুরু করেছে। সেদিক থেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই প্রধান লড়াই হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর এই পরিস্থিতিতে এককালে গোটা রাজ্যের ক্ষমতা যে সিপিএমের ছিল, সেই সিপিএম কার্যত পেছনের সারিতে চলে যাওয়ায় রীতিমত অস্বস্তিতে দলের নেতাকর্মীরা। তাই আগামীদিনে সাফল্য ধরে রাখতে এখন থেকেই আবার ময়দানে নামা প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বাম শিবির।

জানা গেছে, দলের যে সমস্ত বসে যাওয়া নেতা-কর্মী আছেন, তাদের সচল করতে তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের আগামী 3 অক্টোবরের মহামিছিলের অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাতে শুরু করেছেন অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে চিঠি দিয়ে সেই নেতাকর্মীদের মিছিলে যোগদান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে বলে খবর। আর অশোকবাবুর এই চিঠিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু হয়েছে শিলিগুড়ি শহর জুড়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি শহর বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। 2011 সালে গোটা রাজ্যে সিপিএম তাদের দাপট বজায় রাখলেও, সেখানে বাম বিধায়ক হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে 2016 সালেও নিজের গড় রক্ষা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে সেই শিলিগুড়িতে একদিকে যেমন তৃণমূল তাদের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই বিজেপিও তাদের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দুই রাজনৈতিক দল যখন প্রভাব বাড়াচ্ছেড় তখন সিপিএমের শক্ত ঘাঁটিতে যদি সিপিএম দাগ কাটতে না পারে, তাহলে তাদের মুখ রক্ষা হবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এমন পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই তৃণমূল এবং বিজেপির দুই দলের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে যে সমস্ত নেতাকর্মী কিছুটা দূরে সরে গিয়েছিলেন, তাদের কাছে টেনে নিয়ে আরও বেশি করে নিজেদের দখলে থাকা ভোটব্যাংকে পুনরুদ্ধার করতে চাইছে বাম শিবির। আর তাই এখন মহামিছিলের জন্য দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের চিঠি দিয়ে তাতে যোগদানের আহ্বান জানাতে শুরু করে দিলেন অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই সিপিএমের এই মিছিল? নাকি নিজেদেরকে চাঙ্গা করতে এই মিছিলের মধ্য দিয়ে দলের সকল নেতাকর্মীদের একজোট করতে চাইছে বাম শিবির? এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএম বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। দুর্নীতি, ঔদ্ধত্য, দাদাগিরি, কাটমানি খাওয়া, গণতন্ত্র হরণের বিরুদ্ধে বেকারদের কাজের এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল করা হবে। এজন্য দলীয় কর্মীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুধু শিলিগুড়ি নয়, মাটিগাড়া নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, কার্শিয়াং, দার্জিলিং, কালিম্পং বিধানসভা কেন্দ্রেও প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতেড় শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট 270 টি বুথ রয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই বামেদের দখলে থাকা এই শিলিগুড়িতে ক্ষমতা দখল করতে বুথের সংগঠনের উপর সবথেকে বেশি জোর দিয়েছে। আর সেখানেই নিজেদের খাসতালুকে কাজটা সহজ হবে জেনে এখন থেকেই ময়দানে নেমে দুই দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করে দিতে চাইছেন সিপিএমের অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। এখন তার এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দলের পুরোনো নেতাকর্মীরা মহামিছিলে যোগদান করেন কিনা এবং সিপিএমের এই মিছিল তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে কতটা সফলতা এনে দিতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!