তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শুভেন্দু গড়, দিলীপ-শিশির বাকযুদ্ধ তুঙ্গে!জোর চাঞ্চল্য! মেদিনীপুর রাজ্য June 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ঘুটি সাজিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সকলে। আর রাজনৈতিক দলগুলো ময়দানে নেমে পড়ার সাথে সাথেই রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি এলাকা তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ রণক্ষেত্র হয়ে উঠল। যেখানে গুলিবিদ্ধ হলেন কাঁথি জেলা বিজেপির সম্পাদক। যাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহ ধরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রীতিমতো উত্তপ্ত ছিল খেজুরির দু’নম্বর ব্লকের নিচকসবা অঞ্চলের গোড়াহাট জলপাই এলাকা। তবে রবিবার সেই সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়ার পাশাপাশি তাদের অনেকের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন কাঁথি জেলা বিজেপির সম্পাদক পবিত্র দাস। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেই রীতিমত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই খেজুরিতে পথ অবরোধ করতেও দেখা গেছে বিজেপি নেতা কর্মীদের। আর লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে ময়দানে নেমে রাজ্যের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেল, তাতে রীতিমত গুঞ্জন বাড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এদিকে দলের হেভিওয়েট নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই এই ব্যাপার নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী খেজুরিতে অশান্তি করছে। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দীলিপবাবু এই অভিযোগ করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “সরকার, পঞ্চায়েত, পুলিশ আমাদের। তাহলে কেন আমরা বিজেপি নেতার ওপর হামলা করব! আসলে এসব বিজেপির মিথ্যা অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ নেতা সিপিএম করতেন। এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলবদলের জেরেই অশান্তি। সিপিএম কর্মী সমর্থকরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।” তবে বিজেপি নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যে অব্যাহত থাকবে, তা কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -