এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ফের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, রনক্ষেত্র এলাকা

ফের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, রনক্ষেত্র এলাকা

 

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা চরম আকার ধারণ করেছে। তবে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই তরজা মুখের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এবার কিছুটা ভিন্ন ইস্যুতে সেই তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল।

জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে নকুণ্ডা পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছিল। যেখানে আগামী 21 ডিসেম্বর বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে মাইক নিয়ে প্রচার করেছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, বিজেপি নেতা কর্মীরা প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় দরিনকুন্ডা গ্রামে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তৃণমূল এবং বিজেপি দুপক্ষই থানাতে অভিযোগ জানাতে আসলে, সেখানে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।

জানা যায়, বিজেপির পক্ষ থেকে বিশ্বজিৎ মালিক, পার্থ পাল সহ 5 জন ব্যক্তি সাড়ে আটটার সময় থানায় আসেন। অন্যদিকে রাত ন’টার সময় নিহত লালচাঁদের স্ত্রী রিনাকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হতে দেখা যায় তৃণমূল নেতাদের। আর থানার ভিতরে তৃণমূলের লোকজন বিজেপির ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে সেই বিজেপি নেতা কর্মীরা এক জায়গায় জড়ো হয়ে তৃণমূলের হামিদ আলীকে মারধর করে বলে পাল্টা অভিযোগ ওঠে। তবে পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে গোটা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর কিছুক্ষণ পরই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

জানা যায়, বিজেপি নেতা কর্মীরা থানা থেকে বেরিয়ে বকুলতলার দিকে যাওয়ার সময়ে তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাদের উপর হামলা করে। শুধু তাই নয়, বিজেপির তরফে অভিযোগ উঠেছে, তাদের দলের নেতা সুশীল রায় এবং আদিত্য গোস্বামীর বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করা হয়। এমনকি বিজেপির আদিত্য গোস্বামীকে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আর এই গোটা ঘটনা নিয়েই এখন একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি।

জানা গেছে, এই গন্ডগোলের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মালিক এবং পার্থ পালকে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ মালিক বলেন, “রাস্তায় আমাদের গাড়ি ঘিরে মারধর এবং প্রচুর গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের ছেলেরা। তাদের মারে পার্থ জখম হয়।” অন্যদিকে বিজেপির এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মনতাজুল বলেন, “বিজেপির ছেলেরাই প্রথম হামলা করেছে। গত জুলাই মাসে আমাদের সক্রিয় কর্মী লালচাঁদ বাগকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সেই মামলা তুলে নিতে লালচাঁদের পরিবারের লোকেদের উপর চাপ দিচ্ছিল। এদিন লালচাঁদের স্ত্রী রিনা মাঠে গরু চরিয়ে ফেরার সময় সেখানে তাকে মামলা তোলার জন্য খুনের হুমকি দেওয়া হয়।”

তবে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারের বিরুদ্ধে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ। যদিও বা তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার।

তিনি বলেন, “বিজেপির যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারাই থানায় পুলিশের সামনে বসে অভিযোগ দায়ের করছিল। তাদের গ্রেপ্তার করতে বলেছিলাম। কিন্তু তা না করাতেই ওরা আমাদের মারধর করল। পুরো ঘটনার জন্য পুলিশের নিস্ক্রিয়তাই দায়ী।” সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তপ্ত, ঠিক তখনই শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল গোঘাট এলাকা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!