এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এক মঞ্চে তৃণমূল-বিজেপি-বাম-কংগ্রেসকে মিলিয়ে হেভিওয়েট নেতার দাবি – আমিই দৃষ্টান্ত, অন্যরা আমায় অনুসরণ করুন!

এক মঞ্চে তৃণমূল-বিজেপি-বাম-কংগ্রেসকে মিলিয়ে হেভিওয়েট নেতার দাবি – আমিই দৃষ্টান্ত, অন্যরা আমায় অনুসরণ করুন!

আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে যেখানে শাসক বনাম বিরোধীরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুড়িতেই বেশি ব্যস্ত সেখানে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ওয়ার্ড উৎসব সম্প্রীতির এক অন্য নজির তুলে ধরল। সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে,শিলিগুড়ি পৌরনিগমের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়ার্ড উৎসবে তৃণমূল-বিজেপি-বাম-কংগ্রস নেতারা একই মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।

৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মার পাশে একই মঞ্চে বসে রয়েছেন BJP জেলা সহ সভাপতি তুফান সাহা, স্থানীয় CPI(M) নেতা অনিন্দ্য সাহা, কংগ্রেস নেতা সুশান্ত সরকার। বিরোধী নেতাদের একই মঞ্চে হাজির থাকতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই চক্ষু চড়ক গাছ সমালোচকমহলের।

রাজ্যের কোনো সরকারী অনুষ্ঠানে ডাক পান না বিরোধীরা,এমন অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহুবার উঠেছে। সেই অভিযোগকেই মিথ্যা প্রমাণ করে বিরোধীদের এক মঞ্চে বসিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন রঞ্জন বাবু।

এ প্রসঙ্গে রঞ্জন বাবুকে প্রশ্ন করা হলে সাবলীলভাবেই তুলে ধরলেন তাঁর নিজস্ব যুক্তি। বললেন,তিনি তৃণমূলের নেতা হওয়ার পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরও। যেহেতু অনুষ্ঠানের নাম ‘ওয়ার্ড উৎসব’ কাজেই এই উৎসবে সকলের উপস্থিতিই কাম্য। কাউকে বাদ দিয়ে উৎসব কখনো পূর্ণতা পায় না। বিজেপির তুফান সাহাকে ‘দাদা’ সম্বোধন করে জানালেন,তিনিও এই উৎসবে আসেন।

কংগ্রেসের সুশান্ত সরকার,সিপিএমের অনিন্দ্য সাহাও মঞ্চে এসেছিলেন। মঞ্চে বক্তব্য রাখার আগে একটি ফুটবল খেলারও আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও সকলে একত্রে খেলার মাঠে নেমেছিলেন বলেও জানান তিনি। এরপর সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে রঞ্জন বাবু আরো জানালেন,”রাজনীতি না করে মনে রাখতে হবে ওয়ার্ডটা সবার। উন্নয়নে অংশগ্রহণ করলে আনন্দ-উৎসবে কেন অংশগ্রহণ করব না ? এটা এই ওয়ার্ডের রীতি।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর সাংবাদিকদের তরফ থেকে তাকে একটি বিতর্কিত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানে হল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বরাবরের একটা অভিযোগ রয়েছে যে রাজ্যের কোনো সরকারি কর্মসূচিতে বিরোধীদের ডাকা হয় না। শুধু শাসকদল নয়,বিরোধীরাও তাঁদের কর্মসূচিতে তৃণমূলকে ডাকে না। এরকম কেন হয়?

এ প্রশ্ন করা হলে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে জবাবে রঞ্জন বাবু বলেন,”আমিই দৃষ্টান্ত। অন্যরা আমায় অনুসরণ করুন।” এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেন। বললেন,”খোঁজ নিয়ে দেখব। বিষয়টা জানা নেই।” এরপর আরো একটি প্রশ্ন করা হয় এই বিরোধী নেতাকে। এ ব্যাপারে তাঁরা রঞ্জন শীলশর্মাকে অনুসরণ করবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন,তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। এই অদ্ভূত ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় বিজেপি শিবিরেও।

জেলা বিজেপি সভাপতি তুফান সাহা আবার এ ব্যাপারে তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মার প্রশংসা করতে কোনো কুন্ঠাবোধ করেননি। জোর গলাতেই বলেছেন,”এটাই সংস্কৃতি। রঞ্জনবাবুর থেকে তৃণমূলের শেখা উচিত।” এখন রঞ্জন শীলশর্মার এধরণের আচরণ তৃণমূলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লজ্জায় ফেলল না তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে আরো উজ্জ্বল করল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিকমহলে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের রাজ্যনেতৃত্বদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!