ঘুরে দাঁড়াতে এবার বামেদের নজর তৃণমূল ও বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের উপর ! কলকাতা রাজ্য January 20, 2020 দীর্ঘদিনের শত্রু হওয়া সত্ত্বেও, নীতি-আদর্শ কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখে, গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে বাম-কংগ্রেস জোট করে রাজ্যে প্রতিটা নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া শুরু করেছিল। সেদিক থেকে প্রায় প্রতি সময়ে বাম এবং কংগ্রেসের মূল টার্গেট ছিল, তৃণমূল এবং বিজেপি। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই তারা এই দুই শক্তিকে হারানোর জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও তারা সেভাবে নিজেদের অস্তিত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কিন্তু এবার পৌরসভা নির্বাচন দিয়ে বাংলায় বিজেপি প্রভাব বাড়ানোর ফলে সেই নির্বাচনে তৃণমূলকে পাশে চাইতে দেখা গেল বাম নেতৃত্বকে। মতাদর্শগত ভাবে এই দুই দল ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও, এখন সেই দক্ষিণপন্থী তৃণমূল কংগ্রেসকে পাশে চাইছে বামপন্থীরা। সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে জল্পনাকে বাড়িয়ে দিয়ে জেলা সিপিএমের সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, “তৃণমূল বা বিজেপি বাধা রোখার জন্য সমস্ত শক্তিকে জোর করব। পঞ্চায়েত ভোটে জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে ছিল। কোথাও লাল পতাকা কোথাও বা তেরঙ্গা নিয়ে বেরিয়েছে। বিজেপির লোকও ছিল। বিজেপি কর্মীদের বামেরা স্বাগত জানাচ্ছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে মেরুকরণ দেখা দিতে শুরু করেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে বিজেপি বাংলায় নিজেদের ভোট শতাংশ বৃদ্ধি করে নিয়েছিল। আর এরপরই বামেদের ভোটের সমস্তটাই বিজেপিতে চলে গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার পৌরসভা নির্বাচনে নিজেদের কিছুটা শক্তি বৃদ্ধি করতে বিজেপির কাছে সাহায্য চাইছে বাম নেতৃত্ব। আর তাইতো নিচুতলার বিজেপি এবং তৃণমূলের কর্মীদের নিজেদের দিকে টানতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। ফলে পৌরসভা নির্বাচনে নতুন রাজনৈতিক আবহাওয়া তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের কল্লোল মজুমদার বলেন, “তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী ভোট এক জায়গায় আনতে চাইছে। কলকাতা পৌরসভায় কয়েকটি ওয়ার্ডে ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্তি রয়েছে। তেমনই কয়েকটি ওয়ার্ডে আবার আরএসপি দলের শক্তি রয়েছে। কংগ্রেসও শক্তিশালী। আমরা বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এগোচ্ছি। ধৈর্য ধরে আলোচনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যেতে হবে।” আর সিপিএম নেতার এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, এবার তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে বিজেপির নীচুতলায় এবং তৃণমূলের নীচুতলার নেতাকর্মীদের মনে প্রভাব বিস্তার করে পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে চাইছে। তবে শেষ পর্যন্ত সিপিএমের এই চেষ্টা কতটা সফল হয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -