এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যে কমছে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা, দেশজুড়ে বিজেপির – সেই শূন্যস্থানে বাজিমাতের অঙ্গীকার সূর্যকান্ত মিশ্রর

রাজ্যে কমছে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা, দেশজুড়ে বিজেপির – সেই শূন্যস্থানে বাজিমাতের অঙ্গীকার সূর্যকান্ত মিশ্রর

2011 সালে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিদায় নেওয়ার পরে এরাজ্যে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রায় সব কটিতেই শোচনীয় পরাজয় দেখতে হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একদা রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বামেদেরকে পিছনে ফেলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি।

কিন্তু এই ভাবে দিনকে দিন ভোটের অঙ্কে পিছিয়ে যেতে থাকলে যে কার্যত অস্তিত্ব হারাতে হবে তাঁদের, এবার তা উপলব্ধি করেই ফের দলীয় কর্মী সমর্থকদের মাঠে নামার পরামর্শ দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির প্রবল বিরোধী হিসেবেই পরিচিত বামেরা।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একদিকে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আর অন্যদিকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সাথে গাঁটছড়া বাঁধতেও আগ্রহী তাঁরা। এবার কেন্দ্র এবং রাজ্যের বর্তমান দুই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে আগ্রহী আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সদ্যপ্রয়াত সিপিএম নেতা নিরুপম সেনের স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়ে সেই তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে নিজেদের বিকল্প শক্তি হিসেবে উপস্থাপিত করবার চেষ্টা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। এদিন সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “এই রাজ্যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা দ্রুতহারে কমছে, আর বিজেপি সেই ফাঁকা জায়গায় ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিজেপির একের পর এক জনবিরোধী নীতি, বিভাজনের রাজনীতিতে মানুষ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। তাই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হচ্ছে। আর সেই ফাঁকা জায়গাটা আমাদের দ্রুত রাজনৈতিক আদর্শ ও কর্মসূচি দিয়ে ভরাট করতে হবে।”

পাশাপাশি তৃণমূল এবং বিজেপিকে একই মুদ্রার দুপিঠ বলে উল্লেখ করে সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার কথা নিয়ে ফের তৃণমূল- বিজেপির সমঝোতার অভিযোগ তোলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কিন্তু তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে এই রাজ্যে কি কংগ্রেসের সাথে আদৌ জোট বাঁধবে বামেরা?

এদিন এই প্রসঙ্গে এই স্মরণ সভায় উপস্থিত সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “এই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কিনা সেই ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের লক্ষ্য, এই রাজ্যে তৃনমূল এবং বিজেপি বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় আনা।” কিন্তু সারাদেশে বিজেপি বিরোধিতায় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এক হলেও কেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁরা কোনোরূপ আলোচনা করছেন না?

এই প্রশ্নের উত্তরেরও সমস্ত জবাব রাজ্য কমিটির দিকেই ঠেলে দিয়েছেন সিপিএমের এই সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে বিএসপি এবং এসপির জোটকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করে আগামী 2019 এ কেন্দ্রে একটি “অবিজেপি – ধর্মনিরপেক্ষ – গণতান্ত্রিক সরকার” ক্ষমতায় আসবে বলে মন্তব্য করেন সীতারাম ইয়েচুরি।

সব মিলিয়ে সারাদেশে বিজেপি বিরোধিতায় লড়লেও এই রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধেই লড়তে প্রস্তুত বামেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!