জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূলের নয়া উদ্যোগ, বিজেপি ভীতি নাকি সিপিআইএমকে টেক্কা? উঠছে প্রশ্ন কলকাতা রাজ্য January 2, 2019 এবার জেলায় সম্মেলন করার জন্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এখন থেকে আর সম্মেলনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করা হবে না। কর্মী-সমর্থকরা যে যার সাধ্যমতো চাল দিয়ে সাহায্য করবেন এমনটাই এদিন জানিয়ে দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকাকালীন বামফ্রন্ট আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্মেলনের জন্যে চাঁদা তুলত বলে বহুবার কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাই এবার সিপিএমকে টেক্কা দেওয়ার জন্যে চাঁদার বদলে সম্মেলনের জন্যে কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিল শাসকদল,এমনটাই মনে করছে বিশ্লেষকরা। গতকাল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে সৌরভ চক্রবর্তী বলেন,জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো কাজ করা হবে। শোনা হবে জেলার প্রতিটি মানুষের দুঃখ,দুর্দশা এবং চাহিদার কথা। এই জনসংযোগ বাড়ানোর কাজটি শুরু করা হবে আলিপুরদুয়ারের ইন্দো-ভুটান বর্ডার সীমান্ত এলাকা থেকে। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলবে। আসলে লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে জেলায় জনসংযোগ বাড়ানোর কাজকে গুরুত্ব দিতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই বুঝিয়ে দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। পাশাপাশি তিনি আরো জানালেন,ইতিমধ্যে বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং হেভিওয়েট নেতারা তৃণমূলে আসার জন্য যোগাযোগ করছে। সেইসব বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হুঁসিয়ারী দিয়ে বললেন,”যারা ক্রাইম করে পালিয়েছে, পুলিশ পেটায়,তৃণমূল কর্মীদের আঘাত করে তাদের কাউকে দলে নেওয়া হবে না। তাদের কোনোমতেই রেয়াত করা হবে না।” প্রসঙ্গত,গতকাল জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। উত্তোলন করা হয় দলীয় পতাকাও। সেখানে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী,কৃষ্ণ দাস ও দলের অন্যান্য হেভিওয়েট নেতা,কর্মীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূল দাবীতে জানিয়েছে,তাঁরা মানুষের অনেক কাছাকাছি। তাই সিপিএমের মতো সম্মেলন করার জন্যে চাঁদা সংগ্রহের প্রয়োজন তাঁদের নেই। তবে সম্মেলনের জন্যে দলীয় কর্মী সমর্থকরা যে যার সাধ্যমতো চাল দিয়ে দলকে সাহায্য করতে পারে। ফলে কর্মীদের মনোভাব আরো স্পষ্ট হবে। এটা করতে গিয়ে জেলার প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে যেমন যাওয়া হবে তেমন তাঁদের অভাব-অভি্যোগের খোঁজ খবরও নেওয়া সম্ভব হবে। উল্লেখ্য,হঠাৎ করে জনসংযোগ বাড়াতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলো জেলা তৃণমূল কংগ্রেস? এ প্রশ্ন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। তবে লোকসভা ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূলের এই কৌশল কি শুধুমাত্রই মানুষের দুঃখ-দুর্দশার খবরাখবর নিতে নাকি জেলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত তৃণমূলের রাতের ঘুম ওড়াচ্ছে? যার জেরে মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাইছে তৃণমূল? এ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিকমহলে। আপনার মতামত জানান -