এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ঝাড়খণ্ডের ফলাফলে বাংলা নিয়ে কতটা লাভ হল তৃণমূল, বিজেপির! আর ক্ষতিই বা কতটা! দেখে নিন হিসাব

ঝাড়খণ্ডের ফলাফলে বাংলা নিয়ে কতটা লাভ হল তৃণমূল, বিজেপির! আর ক্ষতিই বা কতটা! দেখে নিন হিসাব


 

সামনেই 2021। নতুন বছর 2020 পড়তে আর কিছুদিন বাকি। আর এক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে বাংলার মসনদ দখল করার জন্য। ইতিমধ্যেই বাংলায় ফের ক্ষমতায় আসতে পুরোদস্তুর ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে তৃণমূলের কাছ থেকে ক্ষমতা নিজেদের বাগে আনতে পাল্টা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাংলার পার্শ্ববর্তী রাজ্য হিসেবে পরিচিত ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতা বদল হয়েছে। এতদিন সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও, এবার সেখানে পরাজিত হয়েছে গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের এবার বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় বসেছে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট। তবে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের এই নির্বাচনী ফলাফলে বাংলার দুই প্রধান রাজনৈতিক দল তৃণমূল এবং বিজেপির ভোটব্যাংকে কি কোনো প্রভাব পড়বে! এখন তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একাংশ বলছেন, কিছুটা হলেও তার প্রভাব পড়বে। কেননা এতদিন রাজ্যে কোনো মিটিং মিছিল হলেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যেত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

যেখানে তিনি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অভিযোগ করতেন, বাংলার মিটিংকে সফল করতে বিজেপি ঝাড়খন্ড থেকে লোক নিয়ে আসছে। আর তর্কের খাতিরে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথা সত্যি হিসেবে ধরে নেওয়া যায়, তাহলে সেদিক থেকে ঝাড়খন্ডে এবার ক্ষমতা বদল হওয়ায় এবং বিজেপি বিরোধী দলের তকমা পাওয়ায়, বিজেপি আর সেই সুযোগ পাবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপির সেদিক থেকে লাভও রয়েছে। কেননা ঝাড়খন্ডে বিজেপি খারাপ ফল করলেও তৃণমূল সেখানে দাগ কাটতে পারেনি। ফলে গেরুয়া শিবির আত্মপ্রত্যয়ী, ঝাড়খণ্ডের এই ফলের প্রভাব পশ্চিমবাংলায় পড়বে না। যার কারণ হিসেবে বিজেপি নেতারা বলছেন, বাংলার মানুষ এখন তৃণমূলের ওপর বীতশ্রদ্ধ। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হেরে যাওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস উজ্জীবিত হলেও, তাদের অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছে একাংশ।

কেননা এবার ঝাড়খন্ডে পৃথকভাবে লড়াই করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে একটি আসনেও তারা জয়লাভ করতে পারেনি। 81 টির মধ্যে 26 টি আসনে প্রার্থী দিয়ে প্রতিটি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যেখানে ভোটের শতাংশ বিচার করলে দেখা যাবে, তা দাঁড়িয়েছে 0.29 শতাংশে। ফলে সেদিক থেকে তৃণমূলের বাইরের রাজ্যে দাগ কাটা যে কার্যত স্বপ্নই থেকে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

তবে তৃণমূলেরও কিছুটা সুবিধা রয়েছে। কেননা ঝাড়খন্ডে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ায় এবং সেখানে বিরোধী জোট সরকার গড়ায় বাংলায় সুযোগ পেতে পারে ঘাসফুল শিবির। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী জোট গড়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করছেন, ঠিক তখনই বাংলা বিজেপি দখল করতে এলে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে জোট সরকারের সাহায্য পেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা বিজেপি বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করবে বলেই বিশ্বাস তৃণমূলপন্থীদের।

তবে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী ফলাফলের সাথে বাংলার ফলাফলের অনেকটাই পার্থক্য হবে বলে মনে করছে অনেকে। কেননা এখনও পর্যন্ত এক বছর সময় রয়েছে। তার মধ্যে রাজনীতির উত্থান পতন ঘটবে। তাই শেষ পর্যন্ত বাংলার বিধানসভার নির্বাচনে কি হবে, কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে পরিস্থিতি! তা সেই সময়ই বোঝা যাবে। তবে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী ফলাফলের পর যে সমস্ত সমীকরণ কষছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, তা বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর মেলে কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!