এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পশ্চিমবঙ্গে “স্বচ্ছতা” আনতে তৃণমূলকে “ঝেটিয়ে বিদায়ের” নিদান বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলির

পশ্চিমবঙ্গে “স্বচ্ছতা” আনতে তৃণমূলকে “ঝেটিয়ে বিদায়ের” নিদান বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলির

বিখ্যাত সিনেমার “মার ঝাড়ু মার, ঝাড়ু মেরে, ঝেটিয়ে বিদায় কর” গানটি মন কেড়েছিল সেকালের মানুষদের। আশ্চর্যজনকভাবে বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতেও সেই “ঝেটিয়ে বিদায়ের” কথাটি চলে আসল। অনেকদিন সেইভাবে দলীয় কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ রূপা গাঙ্গুলীকে।

কিন্তু রবিবার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুরে গান্ধী সংকল্প যাত্রার সূচনা করে তৃণমূলকে “ঝেটিয়ে বিদায়” করার কথা বলে রাজ্য রাজনীতিতে ফের খবরের শিরোনামে চলে এলেন তিনি। জানা যায়, রবিবার দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে বারুইপুর রোডের জুলপিয়া থেকে আমতলা এবং আমতলা থেকে বাখরাহাট পর্যন্ত এই গান্ধী সংকল্প যাত্রা আয়োজিত করা হয়।

যেখানে সুসজ্জিত ট্যাবলো থাকার পাশাপাশি সেই মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় রুপা গাঙ্গুলী সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে। দেখা যায়, ঝাঁটা হাতে এই গান্ধী সংকল্প যাত্রায় সাফাই অভিযান করছেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বস্তুত, রুপাদেবী বরাবরই চরম তৃণমূল বিরোধী হিসেবে পরিচিত।

অতীতেও তিনি তার প্রমাণ দিয়েছেন। তবে মাঝে কিছুদিন রাজ্য রাজনীতিতে তাঁকে না দেখা না যাওয়ায় তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে এবার গান্ধী সংকল্প যাত্রায় উপস্থিত হয়ে ঝাঁটা হাতে সাফাই অভিযানের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলকেই ঝেটিয়ে বিদায় করার কথা বললেন বিজেপির এই রাজ্যসভার সংসদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে ক্রমেই আলাদা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রতিদিন এখানে খুনোখুনি, রক্তারক্তি হচ্ছে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বলে কিছু নেই। তাই পশ্চিমবঙ্গে পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষকে একবার বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। এই স্বচ্ছতা অভিযানের মত পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকেও ঝাঁট দিয়ে বিদায় করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।”

এদিকে এদিন এনআরসি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করলেও তার পাল্টা জবাব দেন রূপা গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, “দেশের মানুষের আগে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের প্রয়োজন। তাই সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল এনে দেশের মানুষের প্রয়োজন মেটানোই কেন্দ্রের লক্ষ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই এনআরসি নিয়ে মানুষকে অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন।”

সব মিলিয়ে গান্ধী সংকল্প যাত্রায় উপস্থিত হয়ে সাফাই অভিযানের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলকে ঝাঁট দেওয়ার কথা বলে পশ্চিমবঙ্গে স্বচ্ছতা আনার পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলী বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!