এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তবে কি এবার এই নেতাও বিজেপিতে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র কটাক্ষে জল্পনা

তবে কি এবার এই নেতাও বিজেপিতে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র কটাক্ষে জল্পনা

বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী করা নিয়ে প্রথম থেকেই নিজের মতামত দলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র। অর্পিতা প্রার্থী হলে জয় আদৌ কতটা সম্ভব তা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আপত্তিও তুলেছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ বিপ্লবের সেই মতকে মান্যতা না দিয়ে অর্পিতা ঘোষের উপরই ভরসা রাখেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের কাছে হেরে যেতে হয় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে। আর বালুরঘাটে দলের এহেন ফল একেবারেই মানতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো গতকাল রাজ্যের সমস্ত জেলার দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্রর উদ্দেশ্যে এক বিস্ময়কর প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন কালীঘাটের বাসভবনের বৈঠকে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের পরাজয় নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্রর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনি তৃণমূলে নাকি বিজেপিতে থেকে রাজনীতি করতে চান, তা এবার আপনাকেই স্থির করতে হবে।” আর এই ঘটনার পরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় চাঞ্চল্য।

তবে বিপ্লব মিত্রকে শুধু এহেন প্রশ্ন করাই নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে বিপ্লব বাবুকে সরিয়ে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকেই সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দায়িত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী। আর কালীঘাটের বাসভবনের এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপ্লব মিত্রের উদ্দেশ্যে এহেন প্রশ্নকে ঘিরেই এবার রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।

অনেকে বলছেন, তাহলে কি তৃণমূল নেত্রীর কাছে কোনো প্রমাণ ছিল যে বিপ্লব মিত্র তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বা রাখছেন। অর্পিতাকে মুখে ভোটে জেতানোর কথা বললেও কি বিজেপিকে ভোটে জিততে সাহায্য করেছেন, নাকি খুব শীঘ্রই তিনি বিজেপিতে যেতে পারেন সেই খবর পেয়েছেন নেত্রী ? নেত্রী আর তাই এহেন মন্তব্য ও পদক্ষেপ ? এই নিয়েই জোর শোরগোল রাজ্যে।

তবে বিপ্লববাবুর অনুগামীদের একাংশের দাবি, যেখানে বালুরঘাট, তপনের মত বিধানসভা এলাকায় অনেক বেশি ভোটে অর্পিতা ঘোষকে পিছিয়ে দিল, সেখানে শুধুমাত্র কেন বিপ্লববাবুর ওপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত দোষ চাপালেন!

অন্যদিকে অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিপ্লব মিত্রর উদ্দেশ্যে এই কথা বললেন, তখন বিপ্লববাবুর হাতে থাকা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ এবং জেলার একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতগুলির ভবিষ্যত নিয়েও উঠে গেল প্রশ্ন। কেননা অর্পিতা ঘোষের সভাপতি হওয়া কোনমতেই বিপ্লব মিত্র এবং তার অনুগামীরা মেনে নিতে পারবেন না। ফলে দলে থেকে সম্মান না পেয়ে বিপ্লববাবুর অনুগামীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারেন।

আর যদি তারা দলে না থাকেন তাহলে বিপ্লব মিত্রের হাতে থাকা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একাধিক পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলিও রং বদল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে একাংশ। কিন্তু শেষমেশ কি করবেন বিপ্লব মিত্র? দলে থাকবেন, নাকি নেত্রী তাকে উদ্দেশ্য করে এই প্রশ্ন করায় চরম অপমানিত হয়ে পা বাড়াবেন গেরুয়া শিবিরে! তা নিয়েই এখন জোর প্রশ্ন শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে।

এদিন এই ব্যাপারে বিপ্লব মিত্রের কাছে প্রশ্ন করা “এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমার নামে মমতাকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছে। উনি যেটা ভালো বুঝেছেন, করেছেন। সভাপতি বদল করে জেলার সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে বলেই হয়তো এই কাজ করা হয়েছে। কিন্তু আমি যদি দলীয় প্রার্থীকে হারিয়েই থাকি, তাহলে অর্পিতা 5 লক্ষের ওপরে ভোট পেল কি করে!” যদিও বিজেপিতে যাবেন কিনা সে নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের পরে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে শাসকদলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা বিপ্লব মিত্র সবুজ নাকি গেরুয়া জামা পড়েন! সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!