প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউন পরিস্থিতি এবং করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ কিছুদিন হল রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রেখেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। করোনাকে ইস্যু করেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কিন্তু সেভাবে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি তাদের। সম্প্রতি কিছুটা হলেও শিথিল হয়েছে লকডাউন পরিস্থিতি। আর এবার সেই লকডাউন কিছুটা শিথিল হতে না হতেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেল দলবদলের পালা।

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের ঘর ভাঙতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হল তৃণমূল কংগ্রেসে। সূত্রের খবর, এদিন নদীয়ার চাকদহের তাতলা এলাকায় প্রায় 200 জন বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।

আর দলবদলকারী এই কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন চাকদহ তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল হয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়কালে চাকদহে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ব্যাপক যোগদান তৃণমূলকে উজ্জীবিত করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

পাশাপাশি বিজেপির অস্বস্তি অনেকটা বাড়িয়ে দেবে বলে দাবি একাংশের। জানা গেছে, রানাঘাট লোকসভার অন্তর্গত এই চাকদহ বিধানসভা। সেদিক থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছিল বিজেপি। তারপর একের পর এক তৃণমূলের ঘর ভাঙতে সক্ষম হয় তারা। কিন্তু এবার যেভাবে সেই লোকসভার অন্তর্গত চাকদহ বিধানসভায় তৃণমূল বিজেপির ঘর ভেঙে দুশো জন বিজেপি কর্মীকে নিজেদের দলে যোগদান করাল, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ীদের নিয়ে রাজনীতি করায় তারা ভুক্তভোগী। সেজন্য পরিযায়ী ছাড়াও সাধারণ মানুষ এখন তৃণমূলে প্রতি ভরসা রাখতে শুরু করেছেন।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।