এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সমরেশ দাসের পর এবার ফের এক বিজেপি নেতার সঙ্গে এক মঞ্চে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, অস্বস্তি বাড়ছে শাসকের!

সমরেশ দাসের পর এবার ফের এক বিজেপি নেতার সঙ্গে এক মঞ্চে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, অস্বস্তি বাড়ছে শাসকের!

 

এক অস্বস্তি ঢাকতে না ঢাকতেই আরেক অস্বস্তি সামনে চলে এল তৃণমূল কংগ্রেসের। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের সাথে একমঞ্চে থাকার জন্য দলের তরফে শোকজ করা হয়েছে এগড়ার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসকে। যা দেখে অনেকে বলেছিল, বঙ্গ রাজনীতিতে সৌজন্যে উঠে যেতে চলেছে। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, এবার নিজের পদ বাঁচানোর জন্য তৃণমূলের অনেকেই সৌজন্য করতে ভুলে যাবেন। কিন্তু না তা তো হলই না।

উল্টে এবার দিলীপ ঘোষের পর ঝাড়গ্রামে বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গেল শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে সর্বত্র। তবে মঞ্চে বিজেপি সাংসদকে দেখে তড়িঘড়ি সেই মঞ্চ থেকে নেমে যেতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। যা দেখে অনেকেই বলছেন, নিজের পদ বাঁচানোর জন্যেই ইচ্ছে থাকলেও সৌজন্যে করতে পারলেন না তৃণমূল বিধায়ক।

কেননা তিনি ভালোমতোই জানেন, এর আগে সমরেশবাবুকে এই কারণে দলের কুদৃষ্টিতে পড়তে হয়েছে। তাই তিনি যাতে দলের খারাপ দৃষ্টিতে না পড়েন, তার জন্যই মঞ্চে উঠেও মঞ্চ ছেড়ে যেতে হল তাকে। প্রসঙ্গত, শনিবার গোয়ালতোড়ের মাকলি অঞ্চলের পেড়ুয়াবাদ কালাবতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। আর সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের শ্রীকান্ত মাহাতো এবং ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমকে।

এদিকে বিজেপি সাংসদ মঞ্চে থাকাকালীন দুপুর দুটোর সময় সেখানে আসেন তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। কিন্তু মঞ্চে উঠে চেয়ারে বসার পরই তিনি দেখতে পান যে, মঞ্চে বিজেপি সাংসদ বসে রয়েছেন। আর এরপরই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে মঞ্চ থেকে নেমে গিয়ে ভেতরের ঘরে বসেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন তিনি এমনটা করলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “সাংসদ থাকবেন বলে আমি জানতাম না। স্কুলে গিয়ে মঞ্চে উঠে ওনাকে দেখতে পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে নেমে এসেছি। উনি থাকবে জানলে আসতাম না। এই নিয়ে বিতর্ক খোঁজা অর্থহীন।” তাহলে কি দলের হুইপ রয়েছে যে, বিরোধীদলের কারও সাথে সৌজন্য করা যাবে না! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দলের নিয়ম তো সবার জন্য একই। দল যদি মনে করে শাস্তিযোগ্য, তাহলে দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সেক্ষেত্রে আমার কাছে প্রস্তাব এলে তা দেখা হবে।”

এদিকে তৃণমূল বিধায়কের এহেন আচরণ নিয়ে তাকে কিছুটা হলেও খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। এদিন তিনি বলেন, “স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় বিধায়ক এসেছিলেন। তবে উনি বেশিক্ষণ থাকেননি। মঞ্চে প্রদীপ জ্বালানোর সময় মাইকে ঘোষনা করা সত্ত্বেও তিনি আসেননি। আমরা সব সময় সৌজন্যের রাজনীতিই করি।” তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে তৃণমূলের বিধায়ক বিজেপি সাংসদ থাকার কারণে মঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেন, তাতে তৃণমূলের মধ্যে সৌজন্যতার বড়সড় অভাব রয়েছে বলেই দাবি করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!