সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চেও তৃণমূল-বিজেপি ভাগাভাগি? বিজেপি সাংসদ আসার খবরে মঞ্চ ছাড়লেন সরকারি আধিকারিকরা কলকাতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি July 1, 2019 রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতায় তৃণমূল থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা জয়লাভ করা সত্ত্বেও তাদের ঠিকমতো সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয় না বলে বিভিন্ন সময়ই অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে শাসকের বিরুদ্ধে সরব হতেও দেখা গেছে বিরোধীদের। আর এই পরিস্থিতিতে এবার হুল দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে সেই শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক ভেদাভেদের ছবিটাই স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠল। সূত্রের খবর, রবিবার হুল দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে হুগলির বলাগড় ব্লকের মহিপালপুর পঞ্চায়েতের কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সকল প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বেলা 11 টা নাগাদ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। যেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় সদর মহকুমার শাসক অরিন্দম বিশ্বাস, বলাগড়ের বিডিও সমিত সরকার, মহিপালপুরের পঞ্চায়েত প্রধান সৌরভ বিশ্বাস সহ এই ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানদের। এদিকে এই অনুষ্ঠান চলাকালীন তখন সবে মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন একের পর এক প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু হঠাৎই তারা শুনতে পান যে, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানে আসছেন। আর তড়িঘড়ি নিজেদের বক্তব্য কাটছাট করে সেই মঞ্চ ছাড়েন মহকুমা শাসক অরিন্দম বিশ্বাস এবং বলাগড়ের বিডিও সমিত সরকার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে কার্যত একাই মঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন এই অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সরকারিভাবে হুল দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে। তাই আমি এখানে এলাম। অথচ ব্লক প্রশাসন আমাকে দেখে মঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেন। আসলে সরকারি আধিকারিকরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। এটা ঠিক হল না।” সত্যিই তো তাই! বিজেপি সাংসদ শুধু বিজেপির নয়, তিনি তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত। তাহলে তিনি যখন একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন, তখন সেখান থেকে কেন দায় সেরে মঞ্চ থেকে নেমে যাবেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা! তাহলে কি তাদেরও রাজ্যের শাসক দল রাজনীতিকরণের মধ্যে দিয়ে গ্রাস করছে! এখন সেই ব্যাপারেও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও বা এই ব্যাপারে বলাগড়ের বিডিও সমিত সরকার বলেন, “আমি সাংসদের আসার খবর জানতাম না। আমি তো তাঁকে আমন্ত্রণ করিনি। আমার কাজের তাড়া ছিল, তাই চলে এসেছি।” একই কথা সোনাগাছি সদর মহকুমার শাসক অরিন্দম বিশ্বাসের গলাতেও। আর এইসব দেখে এবং শুনে অনেকেই বলছেন, আসলে এ হল রাজনীতির নিষ্ঠুর পরিহাস। আর তাইতো হুল দিবসের অনুষ্ঠানেও বিজেপি সাংসদ উপস্থিত হবেন জেনে রীতিমতো মঞ্চ ছাড়তে হল রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কারণ তা না হলে তাদের রাজ্যের শাসকদলের কোপে পড়তে হতে পারে বলে মঞ্চ ছাড়লেন প্রশাসনিক কর্তারা বলে দাবি সমালোচক মহলের। আপনার মতামত জানান -