লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা অভিষেক ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে মাত দিয়ে ফের বিষ্ণুপুর আসন থেকে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এদিন তাঁর উপর ভরসা রেখেছেন। আর তাই ২০২১ এর বাংলা দখলের অন্যতম সেনাপতি করা হয়েছে তাঁকে।

দিলীপ ঘোষ তাঁকে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি হিসাবে বরণও করেছেন। চ্যালেঞ্জিং সময়ে দল তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে দল. তাঁকে দ্বায়িত্ব দিয়ে যে ঠিক করেছে তার প্রমদিয়ে এদিন তিনি দাবি করেন তৃণমূল থেকে অন্তত ৭০ জনের বেশি বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। এছাড়াও সিপিএম থেকেও বিজেপি যোগদান হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আর এর ফলে তৃণমূল বড়সড় ধাক্কা খেলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। কেননা এর আগেও তিনি তৃণমূলের যুব সভাপতি ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে আসে অভিষেক। সাথেই তিনি দীর্ঘদিন তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূলের টিকিটে সাংসদও হয়েছেন। ফলে তৃনাওয়ালের নারী নক্ষত্র তাঁর চেনা। আর অলক্ষন নতুন দ্বায়িত্ব পেয়ে যে আরো বেশি করে তৃণমূলকে ধাক্কা দেবেন সেই নিয়ে জল্পনা ছিলই এবার সেই জল্পনায় সিলমোহর দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।

এদিন প্রাক্তন নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সৌমিত্র খান বলেন, করোনার থেকেও ক্ষতিকারক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ কেবল মাত্র পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ১০০ জনের ওপর কর্মী সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান সময়েই জায়গায় জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলছে। চপ শিল্প করতে বলে বাংলাকে শেষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।