এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের তিন মহারথী কি এবার গেরুয়া পথে? নারদ-ইঙ্গিতে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু নেট দুনিয়ায়!

তৃণমূলের তিন মহারথী কি এবার গেরুয়া পথে? নারদ-ইঙ্গিতে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু নেট দুনিয়ায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –শত্রুপক্ষ যদি বিপদে রক্ষা করে, তাহলে সেই শত্রু এক লহমায় হয়ে যায় বন্ধু। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির শত্রুতার কথা কারোর অজানা নয়। কিন্তু তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট নেতা নেত্রী এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে কোনরূপ নোটিশ না পাওয়ায় এবার তারা কি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন! এখন এই জল্পনা চরমমাত্রায় উঠতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়কালে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যায়, তৃণমূলের সিংহভাগ নেতা-নেত্রী প্রকাশ্যে টাকা নিচ্ছেন। আর এর পরেই নারদ কান্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মাঝে বেশ কিছুদিন সেই তদন্ত বন্ধ ছিল। বর্তমানে সেই ঘটনায় টাকা নিতে দেখা যাওয়া বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে একটি ইমেইল পৌঁছে গেছে।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই ইমেইল পৌঁছয়নি বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যাকে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ বলেই দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শুধু বিজেপির এই দুই নেতা নয়, তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট মন্ত্রী এবং সাংসদের কাছেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো ই-মেইল পৌঁছয়নি। যার মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং অপরুপা পোদ্দার।

যদি তৃণমূলের কথাই বাস্তব বলে ধরে নেওয়া হয় যে, তাদের নেতা নেত্রীদের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ হচ্ছে, তাহলে কেন তৃনমূলের এই তিন নেতা-নেত্রীকে ইমেইল পাঠালো না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? তাহলে কি তৃণমূলের এই তিন হেভিওয়েট নেতা নেত্রী এবার যোগ দিতে চলেছেন বিরোধী শিবিরে? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই জল্পনা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। বস্তুত, বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে যে, তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দলে অতটা গুরুত্ব না পেয়ে যোগ দিতে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যদিও বরাবরই সমালোচকদের সেই দাবিকে অস্বীকার করেছেন শুভেন্দুবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলে ইমেইল বার্তা পেলেও কেন শুভেন্দু অধিকারী তা পেলেন না! তাহলে কি তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন? এখন এই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে নারদ কান্ডের ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা যাওয়া প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়েও জল্পনা কম নেই। ভয়াবহ দুর্যোগের পর যখন সাধন পান্ডে, ফিরহাদ হাকিম এবং পরেশ পালকে নিয়ে যখন তৃণমূলের অন্দরে তীব্র তরজা শুরু হয়েছিল, ঠিক তখনই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নানা মন্ত্যব্য তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতে শুরু করে। ফলে সুব্রতবাবু দলবদলের একটা জল্পনা তখন থেকেই তৈরি হয়েছিল।

এছাড়াও অতীতে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, আবার তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, আবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের নজির রয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাই তার মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও এবার বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, আর তার কারণেই কি তিনি ইডির পক্ষ থেকে ইমেইলে কোনো বার্তা পেলেন না! এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আর আরো একজন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার কে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তাও নিঃসন্দেহে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক অলিন্দে। যারা জেরে তৃণমূলে থাকার সময় থেকেই মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আরামবাগে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। যখন মুকুল রায়ের হাত ধরে অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খা রা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল যে, অপরুপা পোদ্দার এবার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে পারেন।

কিন্তু তা বাস্তব রূপ নিতে দেখা যায়নি। পরবর্তীতে আরামবাগে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে অপরূপা পোদ্দার দাঁড়ালেও, বিজেপির থেকে গুটিকয়েক ভোটে জিতে কোনরকমে মুখ রক্ষা হয়েছে তার। তাই তার মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবার ইডির প্রকোপ থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন?উঠেছে এই প্রশ্নও! আর তাই বিজেপির মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এই ইমেইল যেমন পেলেন না, ঠিক তেমনই তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট মন্ত্রী এবং সাংসদ ইমেইল পাওয়া থেকে বাদ থাকলেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে।যদিও এই নিয়ে মুখ খোলেননি কেঊই। অনুগামীদের কেউ কেউ বলছেন কোনো প্রমান মেলেনি তাই নোটিশ পাঠানো হয়নি। আবার অনেকে বলছেন পরে হয়তো পাঠানো হবে। সব ছাপিয়ে আর এক দল বলছে নোটিশ ই কি দলবদলের চাবিকাঠি !

তবে যে জল্পনা এখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, তাতে শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং অপরুপা পোদ্দার সত্যিই দলবদল করেন,তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ঘুম এবার উড়তে চলেছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!