এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এই হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর বিজেপি-যোগ শুধু সময়ের অপেক্ষা? জল্পনা বাড়ালেন খোদ মুকুল-পুত্র!

এই হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর বিজেপি-যোগ শুধু সময়ের অপেক্ষা? জল্পনা বাড়ালেন খোদ মুকুল-পুত্র!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টসম্প্রতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং স্বচ্ছ মুখ হিসেবেই পরিচিত। রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীও তিনি। আর এহেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি রাজনৈতিক মহলে যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল, ঠিক তেমনই অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে। দুর্নীতির প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেস কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করলে অনেক তৃণমূল নেতাকর্মীদের শোকজ থেকে শুরু করে বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

যার পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায় নিজের জেলার বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা কর্মীকে সাসপেন্ড করেন। আর এরপরই এই ব্যাপারে সরব হন হাওড়া জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র চুনোপুঁটিদের নয়, ব্যবস্থা নিতে হলে একদম রাঘববোয়াল পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। দলের সর্বস্তরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

অর্থাৎ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতি যে পদ্ধতি অবলম্বন করছেন, তাতে কোনোমতেই মান্যতা দিতে নারাজ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি গোটা ঘটনায় তার সঙ্গে কোনো রকম যে আলোচনা করেননি অরূপবাবু, তা নিয়েও অভিযোগ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গ রাজনীতিতে। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও, দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে রাজ্যের বনমন্ত্রীর? আর তাই কি এবার এই ধরনের মন্তব্য করতে বাধ্য হলেন তিনি? রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলতে শুরু করেন, এবার হয়ত বড়সড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই তিনি এখন দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপারে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

যদিও বা এই বিষয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এবার সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের পুত্র তথা বীজপুরের বিজেপি বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। সূত্রের খবর, এদিন হালিশহর পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করেন অংশুমান রায়। আর এরপরেই সেই ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শুভ্রাংশু রায়।

তিনি বলেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত লোক কি তৃণমূলে সম্মান পাচ্ছেন? যারা দুর্দিনে তৃণমূলে দাঁড় করিয়েছিলেন, তারা সম্মান পাচ্ছেন? বীজপুরের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কারা এখন তৃণমূল কংগ্রেস করছেন। যারা দল গঠন হওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভেঙেছিলেন, কর্মীদের মেরেছিলেন, তারাই তৃণমূলে রয়েছেন।”

অর্থ্যাৎ শুভ্রাংশু রায়ের এই কথাতেই স্পষ্ট যে তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কথা তুলে ধরে বোঝাতে চাইলেন যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত একসময় তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এখন আর সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। তাহলে কি শুভ্রাংশুবাবু নিজের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিতে চাইলেন যে, তিনি যাতে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন! এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু এবার যেভাবে শুভ্রাংশু রায় সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করলেন, তাতে রাজীববাবুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাহলে কি এবার তৃণমূল ছেড়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জার্সি পরিবর্তন করবেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? তার সম্পর্কে এই রকম মন্তব্য করে তাকেই কি বার্তা দিতে চাইলেন মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়? রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে প্রত্যেকের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!