এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলকে হারানোর লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু বঙ্গ বিজেপিতে! আরও জোরদার হচ্ছে সঙ্ঘের রাশ

তৃণমূলকে হারানোর লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু বঙ্গ বিজেপিতে! আরও জোরদার হচ্ছে সঙ্ঘের রাশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার ব্যাপক রদবদল অনুষ্ঠিত হল বাংলায় বিজেপির সংগঠনে। যেখানে দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে সেখানে আনা হল অমিতাভ চক্রবর্তীকে। জানা গেছে, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক পদে সরাসরি আরএসএস থেকে কাউকে নিয়োগ করা হয়। প্রায় দীর্ঘদিন ধরে এই পদে ছিলেন সুব্রতবাবু। কিন্তু তাকে নিয়ে দলের একাংশের মনোমালিন্যের ফলে সেই জায়গা থেকে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে আনা হল অমিতাভ চক্রবর্তীকে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, এই সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘের ক্ষেত্র প্রচারক প্রদীপ জোশির মনোমালিন্য চরমে উঠেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তাকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে সংঘের আর এক মুখ অমিতাভ চক্রবর্তীকে আনা হল।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সেই সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লিতে জরুরি তলব করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আর সেখানেই তাকে এই কথা জানিয়ে দেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। কিন্তু এর ফলে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে কি কোনো প্রভাব পড়বে না? একাংশ বলেছেন, এতদিন দিলীপ ঘোষ এবং সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে সমন্বয় ছিল। কিন্তু সুব্রতবাবুর ডানা থাকার ফলে অমিতাভ চক্রবর্তী সেই জায়গায় আসায় দিলীপ ঘোষ এবং অমিতাভবাবুর মধ্যে সেই সমন্বয় কতটা রক্ষা হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে অনেকে আবার বলছেন, অমিতাভ চক্রবর্তী দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাংলায় সংঘের ছাত্র সংগঠনের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। তবে মাঝে তাকে ওড়িশায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই অমিতাভবাবুকে বাংলার সংগঠনের কাজে নিযুক্ত করার পেছনে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কেননা এই প্রদীপবাবুর সঙ্গে সুব্রতবাবু সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। তাই সুব্রতবাবুর ডানা ছেঁটে সেই জায়গায় অমিতাভবাবুকে আনতে প্রদীপবাবুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে না, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন কোনো ঘটনা ঘটুক, যার জন্য বিজেপি বাংলায় পর্যুদস্ত হয়। তাই সংগঠনের ক্ষেত্রে যে সমস্ত দুর্বলতা হয়েছে, তা দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে উদ্যত হল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার জেরে বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে সেই জায়গায় সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ অমিতাভ চক্রবর্তীকে নিয়ে আসা হল। সব মিলিয়ে এবার বাংলায় এই রদবদলকে কেন্দ্র করে বিজেপি কতটা সংঘবদ্ধ হতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!