তৃণমূল-বিজেপির দলবদল, বোমাবাজির অভিযোগ উত্তরবঙ্গে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনৈতিক মহল উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য June 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হালকা হতেই ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। আর রাজনৈতিক দলগুলো ময়দানে নেমে পড়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। বলা বাহুল্য, সামনের 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই এখন থেকে সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় নানা কর্মসূচি করছেন শাসক থেকে বিরোধী নেতারা। এমতাবস্থায় এবার কোচবিহার জেলায় বিজেপির এক মন্ডল সভাপতি বাড়িতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। অভিযোগ, শনিবার দুপুরে 6 চৌপথিতে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে বেরিয়েছিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলী হোসেন। আর সেখানেই বোমাবাজি করা হয় বলে বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বিজেপির পানিশালা মন্ডলের সভাপতি অবিরাম প্রামাণিকের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও খবর। যেখানে অবিরামবাবুর বাড়ির একটি গাড়ি, বাইক ভাঙচুরের পাশাপাশি তার বাড়িতে বোমা ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। তবে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। আর এই গোটা ঘটনাতেই তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে কোচবিহার জেলায়। এদিন এই গোটা ঘটনার কথা তুলে ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও বা তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে শাসকদল। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “বিজেপি পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে কিভাবে প্রচারে আসা যায়, সেই চেষ্টা শুরু করেছে তারা।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিধানসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই উত্তেজনা বাড়ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তারপর থেকেই কোচবিহারে দাপট বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। কিছুটা হলেও কোণঠাসা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শাসক থেকে বিরোধী দুই দলই একে অপরকে টেক্কা দিতে চাইছে। আর তাই লকডাউন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেই ময়দানে দুই দল নামার পর থেকেই এবার শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। যা রীতিমত আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে জেলা বাসীর কাছে। রাজনীতিতে কেন এত পেশিশক্তির নিদর্শন দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। সব মিলিয়ে এবার কোচবিহার জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে শান্ত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -