এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ১৫ আসনের পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯ আসন জিতেও তৃণমূলকে বোর্ড পেতে ‘সাহায্য’ সিপিএমের!

১৫ আসনের পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯ আসন জিতেও তৃণমূলকে বোর্ড পেতে ‘সাহায্য’ সিপিএমের!

মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ট আসনে জিতেও বোর্ড গঠন নিজেদের দখলে নিতে পারল না সিপিএম। সিপিএমের সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব এনে পঞ্চায়েত সমিতি দখলে নিল শাসকদল। গোটা ঘটনায় তীব্র উদ্বেগে বামেরা। এমনিই রাজ্যে ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন এখন বামেদের। রাজ্যের পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন তৃণমূলের দখলে গিয়েছে নয়তো বিজেপির। সিপিএম দুই একটা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও শেষ অব্দি জয় হাসিল করতে পারছে না দলীয় সদস্যদেরই প্রতারণার কারণে। ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন অধরা থেকে যাচ্ছে বামেদের।

জেলা সূত্রের খবর,পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫ টি আসনের মধ্যে ৯ টি আসন পেয়ে এগিয়ে ছিল সিপিএম এবং ৬ টি আসন ঝুলিতে এসেছিল তৃণমূলের। কিন্তু এরপরই ঘটে দলবদলের পালা। গত দুমাসের মধ্যেই সিপিএমের দুজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই পাল্লা ভারী হয় তৃণমূলের। তারপর আনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয় তৃণমূল। অনাস্থার পক্ষে সমর্থন দেয় ৮ জন। আর ভোটাভুটির দিন অজ্ঞাতকারণবশত অনুপস্থিত ছিল সিপিএমের সদস্যরা। ফলত হেরে যায় বামেরা।

বোর্ড গঠন নিজের দখলে নিয়ে নেয় তৃণমূল। মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির অধীন পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে আঠারোখাই, মাটিগাড়া-১, মাটিগাড়া-২ এবং পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত আগেই তৃণমূলের দখলে ছিল। শুধুমাত্র চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতটাই সিপিএম-এর দখলে ছিল। এবার সেটাও দখল করে নিয়ে বামেদের নিজের শক্তি বুঝিয়ে দিল তৃণমূল।

আগামী ৭ দিনের মধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে বলেই জানালেন শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সিরাজ দানেশ্বর। এদিকে অনাস্থা ভোটাভুটি দিন সিপিএম সদস্যরা কেন উপস্থিত ছিলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জবাবে মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি জানান,সিপিএম-এর দুজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েই তো তৃণমূলকপ এগিয়ে দিয়েছে আগেই,তারপর অনাস্থা ভোটে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। তবে একথার পাল্টা দিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মাটিগাড়ার পর্যবেক্ষক কৃষ্ণ পাল বলেন,হার নিশ্চিত জেনেই অনাস্থা ভোটের দিন হাজির ছিল না সিপিএম।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এ প্রসঙ্গে বলেন,মোট ২২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৬ টিতেই ঝান্ডা উড়েছে জোড়াফুলের। সিপিএমের টিকিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। এরপর বাকিগুলোও দখলে আসবে তৃণমূলের। মহাকুমা পরিষদেও মা মাটি মানুষের জয়পতাকা উড়বে। সময়ই বলে দেবে সব। আগামী লোকসভা ভোটেই বিরোধীদের যোগ্য জবাব দেবে তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!