জঙ্গলমহলের তৃণমূলের বৈঠকে এবার গরহাজির স্বয়ং ছত্রধর সহ অনেক নেতা, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ! তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য November 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বহুদিন ধরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে নানা তথ্য সামনে এসেছে। সেখানে একাধিক নেতা মন্ত্রীর অন্য দলে যোগদান করার খবর তুমুল জল্পনা সৃষ্টি করেছিল রাজনৈতিক মহলে। বিশেষত শুভেন্দু অধিকারীর মত মন্ত্রী যিনি তৃণমূলের একেবারে জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে ছিলেন, সেই তাঁর দল ছাড়ার মত আশঙ্কার খবর উঠে আসে। বস্তুত, বিধানসভা ভোট হতে আর বেশি দেরি নেই। আর এমন পরিস্থিতিতে দলের এহেন পরিবর্তন স্বভাবতই ভাবিয়েছে দলের নেতৃত্বকে। ইতিমধ্যে দলের একাধিক কর্মসূচিতে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যা নিয়ে একদিকে যেখানে দেখা গিয়েছিল যে, দলের নেতারা দলেরই একাংশের প্রতি ক্ষুব্ধ। আবার অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোরের কার্যকলাপ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল দলের একাংশ। আর সেই কারণেই তৃণমূলের কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা অস্বীকার করছেন বলেই অনুমান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এরই মধ্যে আবারো জঙ্গলমহলের প্রাণ কেন্দ্র ঝাড়গ্রামে ধরা পড়েছে একই ছবি। যা দেখে আবারও শাসক দলের অন্দরে ঝামেলা শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডেপুটি বিধানসভার স্পিকার তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তাঁরই স্মরণসভার সূচি স্থির করতে দুপুরে জেলা কমিটির বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু ঝাড়গ্রাম বনাঞ্চল সভাঘরে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই বৈঠকে যেখানে জেলা কমিটির ৯৮ জন সদস্যের উপস্থিত থাকার কথা ছিল, সেখানে তার মধ্যে হাজির থাকতে দেখা গেছে ৪৯ জনকে। জানা গেছে, এদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো, জেলার অন্যতম কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সত্যরঞ্জন বারিক, রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা, টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি আর্য ঘোষের মতো অনেকেই। অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জানা গেছে, ছত্রধর মাহাতোর বাঁদনা পরব উপলক্ষে বাড়িতে প্রচুর অতিথি এসেছিলেন। তাই তিনি যেতে পারেননি। তবে তথ্য সূত্রে জানা গেছে, অনুপস্থিতির সঙ্গেই এদিন বৈঠকেও অসন্তোষের আঁচ ছিল। অন্যদিকে, একাধিক সদস্যকে ৯৮ জন সদস্যের জেলা কমিটিতে তাঁদের দায়িত্বটা কী সেটাই এখনও খোলসা করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। তবে এদিন বৈঠকে আগামী ২১ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে সুকুমার হাঁসদার স্মরণসভা হবে বলে স্থির করা হয়েছে। অন্যদিকে, এবিষয়ে বিরোধীরা যে তৃণমূলকে কটাক্ষ করবে না সেটা বলাই বাহুল্য। বস্তুত, বিজেপি-র জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী এদিন শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেন, কে দলে থাকবেন, আর কে থাকবেন না, সেটা ওরা ঠিক করতে পারছেন না। আর সম্ভবত সেই কারণেই ওদের সভায় লোকজন আসেননি বলেই মনে করেছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -