এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের বুথস্তরের নেতা-কর্মীদের জন্য জারি নয়া ফরমান, হাঁসফাঁস অবস্থা নেতা কর্মীদের

তৃণমূলের বুথস্তরের নেতা-কর্মীদের জন্য জারি নয়া ফরমান, হাঁসফাঁস অবস্থা নেতা কর্মীদের

 

ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। যে প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আর ঠিকমত উত্তর না দিতে পারলেই প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষের মুখে পড়তে দেখা গেছে তাদের। তবে প্রশাসনের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতি আনতে এই কাজ করছেন বলে দাবি করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কিন্তু এবার দলীয় নেত্রীর দেখানো পথেই দলে গতি আনতে অভিনব পন্থা বের করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রশাসনিক স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন আধিকারিকদের, ঠিক একইভাবে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নেতাকর্মীদের প্রশ্ন করবেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলেই রোষের মুখে পড়তে হতে পারে তৃণমূলের সেই নেতাকর্মীদের। আর জেলা সভাপতির রোষের মুখে যাতে পড়তে না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত বুথে আগেভাগেই ভালো করে পড়াশোনা করে নিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার বীরভূম তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিউড়ির রবীন্দ্রসদনে একটি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ছিল। আর সেখানেই উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগামী 15 নভেম্বর থেকে 18 ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার প্রতিটি বিধানসভাভিত্তিক বুথ সম্মেলন করা হবে বলে জানিয়ে দেন জেলা সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি এই সম্মেলনে বুথ, অঞ্চল এবং ব্লক সভাপতিদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি। কিন্তু উত্তর দিতে না পারলে পদ থেকে সরে যাওয়ার মত শাস্তির খাড়াও যে তাদের ঘাড়ে নেমে আসবে, তারও আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল। আর বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এহেন হুঁশিয়ারির পরেই এখন কার্যত জেলার বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তটস্থ হয়ে রয়েছেন।

সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই দলীয় সংগঠনের খুঁটিনাটি বিষয়ে নিজের এলাকার মানচিত্র সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন নেতৃত্বরা। জেলা সভাপতি ঠিক কি কি প্রশ্ন করতে পারেন, সেই ব্যাপারে আঁচ করে একটি উত্তরমালাও সাজিয়ে রাখছেন বুথের নেতৃত্বরা।

জানা গেছে, বুথগুলিতে কত ভোটার, মহিলা এবং পুরুষ ভোটারের সংখ্যা, লোকসভা ভোটে দল কত ভোট পেয়েছে, বিরোধীদের ভোটের সংখ্যা কত, আগামী দিনে নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পেতে পারে দল, এই সমস্ত প্রশ্ন জেলা সভাপতি করতে পারেন। আর তাই জেলা সভাপতির কাছে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে কমন প্রশ্নগুলো পড়ে নিতে চাইছেন বুথের নেতৃত্বরা। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “জেলা সভাপতি কোন প্রশ্ন ধরবে, তা এখন থেকে বোঝা মুশকিল। তাই সব উত্তর যাতে দেওয়া যায়, সেজন্যই কাউন্সেলিং করা হবে।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সাবের আলী খান বলেন, “জেলা নেতৃত্বের নির্দেশমতো প্রত্যেক বুথের সভাপতি সহ 9 জন কর্মীকে নিয়ে আগামী শনিবার থেকে আমরা বসছি। সেখানে সেই বুথের যাবতীয় তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।” এদিকে এই ব্যাপারে রাজনগর ব্লক তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার সাধু বলেন, “আমরা এখানে আগামী রবিবার থেকে সব বুথের সভাপতি সহ কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করব।” তাহলে কি সত্যি সত্যি অনুব্রত মণ্ডল এখন শিক্ষকের ভুমিকায়!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, “বুথভিত্তিক সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে সবাইকে পড়াশোনা করতে বলা হয়েছে। সেইমত তাদের প্রতিটি উত্তর মিলিয়ে দেখা হবে। বর্তমানে জেলায় সবাই পড়াশোনা করছেন।” কিন্তু জেলা সভাপতির রোষের মুখে পড়ার ভয়ে বুথ নেতৃত্বরা ভালোভাবে পড়াশোনা করলেও বুথ সম্মেলন শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাদের এই পড়াশুনো আদৌ সমান্তরালভাবে চলবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!