এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূলের ব্রিগেড আদতে “মোদি-বিরোধী” ছিলই না! বিস্ফোরক ব্যাখ্যাসহ দাবি হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

তৃণমূলের ব্রিগেড আদতে “মোদি-বিরোধী” ছিলই না! বিস্ফোরক ব্যাখ্যাসহ দাবি হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

গত 19 জানুয়ারি বিজেপিকে হঠাতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে কোলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের এক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশের সিংহভাগ বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা। যে সমাবেশ থেকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিজেপির একাধিক নেতা- মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে দেন দেশের বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা।

কিন্তু এবারে সেই বিরোধী মহাজোটের সমাবেশকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে সেই ঐতিহাসিক জনসভাকে “মোদী ভার্সেস ক্যাওস” নামে অভিহিত করলেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু কেন এমন মন্তব্য করলেন জেটলি! এদিন তার স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, চিকিৎসা করানোর জন্য আপাতত আমেরিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই আমেরিকা থেকেই এই “এজেন্ডা ফর 2019- মোদি ভার্সেস ক্যাওস” নামক শীর্ষক ব্লগপোস্টে অরুণ জেটলি লেখেন, “তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি আয়োজিত কলকাতার জনসভা মোদি বিরোধী মনে হলেও আসলে ওটা রাহুল গান্ধীকে দূরে রাখারই জনসভা।” অন্যদিকে এই বিরোধীদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই বিরোধী মহাজোটের তরফে ঠিক কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন জেটলি।

তিনি বলেন, “বিরোধী রাজনীতির ফলে সম্ভাব্য 4 প্রধানমন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। মমতা ব্যানার্জি, মায়াবতী, রাহুল গান্ধী এবং কে চন্দ্রশেখর রাও। কিন্তু কলকাতার এই জনসভায় তিনজনই অনুপস্থিত ছিলেন।” আর এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই এই বিরোধী মহাজোটের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকা থেকে রাহুল গান্ধীকে দূরে রাখার জন্যেই এই সমাবেশ বলে পাল্টা বিরোধী মহাজোটের উপর চাপ সৃষ্টি করে কৌশলী মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হিসেবে মমতা ব্যানার্জি, মায়াবতী এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের উদ্দেশ্যে অরুণ জেটলি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের দিদি তার সমর্থনে এক দল রাজনৈতিক অভিযাত্রী। নিজেদের টিকিয়ে রাখার খাতিরে কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা অনেকের ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক। তাই এমনিতেই মমতায় কেউ বড় একটা মজছে না। উত্তরপ্রদেশে বহেনজির রণনীতি স্পষ্ট। উনি খালি জাতপাতের রাজনীতি অভিযোগ তুলে সুযোগ খুঁজছেন। আর কে চন্দ্রশেখর রাও তো অকংগ্রেসী-অবিজেপি। তাই এদের প্রত্যেকের অবস্থান অত্যন্ত সন্দেহজনক।”

আর এরপরই আগামী 2019 সালে কেন্দ্রে ফের বিজেপি সরকার আসবে এই আশা প্রকাশ করে জেটলি বলেন, “সাধারনত রাজনীতিবিদেরা যা ভাবেন মানুষ তার চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। তারা কখনোই এই অরাজকতাকে মেনে নেবেন না।” এবারের লড়াই মোদী বনাম অকেজো স্বল্পদৈর্ঘ্যের জোটের! নাকি মোদী বনাম অরাজকতার এই প্রশ্নও নিজের ব্লগে তুলে ধরেন তিনি। তবে শুধু অরুণ জেটলিই নয়, গত 19 জানুয়ারি কলকাতায় বিরোধী দলগুলির এই ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও।

গ্রেটার নয়ডায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমার মনে হয় বিজেপির ক্ষমতা বজায় রাখার আতঙ্কে এই মহাজোট তৈরির চেষ্টা করছে সকলে। আমাদের একটি দলের সাফল্য তাদেরকে ত্রস্ত করে একত্রিত করেছে। 2019 এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ফের আমরাই কেন্দ্রে সরকার করব।” সব মিলিয়ে ভার বিরোধী মহাজোটে ফাটল ধরাতে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে ফের বিরোধীদের খোঁচা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!