এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফাঁস হয়ে যাচ্ছে স্ট্র্যাটেজি! ঘুম উড়েছে তৃণমূলের! উপনির্বাচনের আগে বড়সড় সিদ্ধান্ত শুভেন্দুর

ফাঁস হয়ে যাচ্ছে স্ট্র্যাটেজি! ঘুম উড়েছে তৃণমূলের! উপনির্বাচনের আগে বড়সড় সিদ্ধান্ত শুভেন্দুর

 

নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে সব রাজনৈতিক দলেরই রননীতি থাকে। আসন্ন বাংলার 3 বিধানসভা উপনির্বাচনে সেই রণনীতি নিয়েই এগোচ্ছে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল। কিন্তু যদি কোনো রাজনৈতিক দলের স্ট্র্যাটেজি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে পৌঁছে যায়, তাহলে তা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে তৃণমূলের অবস্থা ঠিক এরকমই।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড় বলে পরিচিত খড়্গপুরে আগামী 25 নভেম্বর উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমূল এখানে প্রদীপ সরকারকে প্রার্থী করে বিজেপির কাছ থেকে এই কেন্দ্রটি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দলকে এখানে জয়লাভের জন্য নেতৃত্বদের যে স্ট্র্যাটিজি বেঁধে দিয়েছেন, তা প্রকাশ্যে চলে আসছে বলে দাবি একাংশের। আর এতেই বেজায় চটেছেন সেই শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের দামামা বাজার অনেক আগে থেকেই এই খড়্গপুরের বিজেপিকে কুপোকাত করতে নানা কৌশল নিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। মেদিনীপুর শহর লাগোয়া এলাকা থেকে 50 জন বাছাই করা নেতাদের 35 টি ওয়ার্ডের পর্যবেক্ষক করে তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রীতিমত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। কোন পথে চলতে হবে, কিভাবে চললে দল ঠিক পথে এগোবে, তার স্ট্র্যাটেজিও দিচ্ছেন শুভেন্দুবাবু।

কিন্তু সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন যে, তিনি এই গ্রুপে যে সমস্ত নির্দেশ দিচ্ছেন, তা বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর দলের রণনীতি ঠিক করে দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর কথা বাইরে পাচার হয়ে যাওয়ায় এবার তিনি সেই গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যার ফলে খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে এই ঘটনা এখন তৃণমূলকে প্রবল চাপে রাখতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত নেতাদের সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঠাঁই দিয়েছিলেন, সেই সমস্ত নেতাদের মধ্যে অনেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন! আর তাই দলের রণকৌশলে বাইরে চলে যাচ্ছে! এখন তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে খড়্গপুরের কাউন্সিলর, ওয়ার্ড সভাপতি এবং ওয়ার্ড পর্যবেক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই বৈঠকেই ঘরের কথা যাতে বাইরে পাচার করা না হয়, তার জন্য সকলকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় বলে খবর। কিন্তু দলের ভেতরকার খবর যদি এভাবে বাইরে চলে যায়, তাহলে তো দলের শৃঙ্খলা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “সেরকম কিছু নয়। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটা কৌশলগতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডেবরায় পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আমরা বৈঠক করব। সেখানে শুভেন্দুবাবু থাকবেন না। পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আর কোনো বৈঠক হবে না। তাদের ওয়ার্ডের প্রচার সহ নানা কাজ করতে বলা হয়েছে। আমরা এদিন পর্যবেক্ষক ও কাউন্সিলরদের বৈঠকে ডেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করি। বৈঠক আমরা বলেছি যে, সাংবাদিকদের কাছে দলের কথা তারা কেউ বলবেন না। যা বলার দলীয় নেতৃত্ব বলবে।”

কিন্তু এদিনের বৈঠকে ঠিক কি সিদ্ধান্ত হল! এদিন এই প্রসঙ্গে অজিত মাইতি বলেন, “আগামী 7 দিনের মধ্যে চাটাই বৈঠক শেষ করতে বলা হয়েছে। ভোটার তালিকা স্কুটিনির কাজ সহ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেতে বলা হয়েছে। আগামী 14 এবং 17 তারিখ শুভেন্দুবাবুর কর্মসূচি আছে। তারপর মিছিল, পথসভা শুরু হবে। বিজেপি সহ বিভিন্ন দল থেকে অনেকে আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমরা বিজেপি প্রার্থীকে সমাজবিরোধী প্রার্থী বলে প্রচার করব।”

তবে বিজেপি প্রার্থীকে তৃণমূলের তরফে সমাজবিরোধী প্রার্থী বলে প্রচার করা হবে বললেও তা নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন সেই বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা। এদিন তিনি বলেন, “কারা সমাজবিরোধীদের দিয়ে কাউন্সিলরদের ভয় দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়ে পুরবোর্ড দখল করেছিল। কাদের সঙ্গে সমাজবিরোধীরা আছে, কারা এই শহরে মাফিয়ারাজ কায়েম করেছিল, খড়্গপুরের মানুষ তা জানেন। ভোটে তারা যোগ্য জবাব দেবেন।”

তবে তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা অপেক্ষা তৃণমূলের ঘরের কথা যেভাবে বাইরে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, তাতে খড়্গপুরে তৃণমূলের জয়ের পথে তা প্রবল কাটা হতে পারে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!