সিএবি ইস্যুতে জ্বলন্ত প্রতিবাদের মাধ্যমে বাংলায় কি জমি আরও শক্ত করে নিচ্ছে মিম? উঠছে প্রশ্ন রাজ্য December 15, 2019 কিছুদিন আগেই বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের ভোটব্যাংকে থাবা বসাতে হায়দ্রাবাদের একটি সংগঠনকে বিজেপি লেলিয়ে দিচ্ছে বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কটাক্ষের রোষানলে ছিলেন যে হায়দ্রাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এমআইএমআইএম, তা বুঝতে বাকি ছিল না কারোরই। তবে বর্তমানে নাগরিকত্ব বিল পাসের পর যেভাবে বাংলা জুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে, তাতে সেই এমআইএমআইএমের হাত রয়েছে বলে মনে করছে একাংশ। নানা মহলে এই ব্যাপারে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে। জানা গেছে, মুর্শিদাবাদ সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুরের মতো বেশ কিছু এলাকায় মিম তাদের সংগঠনের বিস্তার ঘটাতে শুরু করেছে। একাংশের অভিযোগ, পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন ছোট ছোট বৈঠকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কাছে টানার কাজ করছে তারা। আর তাইতো এবার নাগরিকত্ব বিলকে কেন্দ্র করে যখন বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জন চলছে, ঠিক তখনই একদিকে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আর অন্যদিকে এই প্রতিবাদের মাধ্যমে রাজ্যে আগুন জ্বালিয়ে তৃণমূলকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে এমআইএমআইএম বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, সিএবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে জেলার বাসিন্দাদের হাত রয়েছে ঠিকই। কিন্তু যেভাবে থানা এবং বাসগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে, তাতে এই সংগঠনের কিছুটা হলেও ভূমিকা রয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়।” অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ উস্কানিমূলক পোস্ট করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পর হায়দ্রাবাদের সংগঠন এমআইএমআইএম দুই দিক থেকে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যত হয়েছে। একদিকে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে সংখ্যালঘু সমাজের ভোটব্যাঙ্ক যেমন নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করছে তারা, ঠিক তেমনই বাংলায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধাক্কা দিতে চাইছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল। যদিও বা মিমের এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই তৃণমূল নেতৃত্বের। এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, “রাজ্য সরকার জেলায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। তাই এই জেলার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই থাকবে।” কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, সাধারন মানুষ উন্নয়ন অপেক্ষা সবথেকে বেশি চান শান্তি। তাই যেভাবে নাগরিকত্ব বিল পাসের পর মুর্শিদাবাদ জেলায় শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে, তাতে সেই সংখ্যালঘু প্রবণ জেলায় মানুষ হায়দ্রাবাদের এই সংগঠনের প্রতি যদি ঝুঁকতে শুরু করে, তাহলে তা তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত চাপের কারণ হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -