এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোচবিহারে তৃনমূল প্রার্থীকে নিয়ে কি নাখুশ তৃনমূলীরাই, জেলায় পা দিতেই স্পষ্ট হল ক্রমশ

কোচবিহারে তৃনমূল প্রার্থীকে নিয়ে কি নাখুশ তৃনমূলীরাই, জেলায় পা দিতেই স্পষ্ট হল ক্রমশ

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফে কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা চললেও শেষ পর্যন্ত সমস্ত জল্পনা-কল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বিগত বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নাম ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে বাম সরকারের এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে এলাকায় সেই ভাবে দেখা না গেলেও তাকেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায় প্রকাশ্যে দলের কেউ বিরোধীতা না করলেও ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন।

এমনকি খোদ পরেশ বাবু সেই কথা আঁচ করে তাকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া যে জেলা তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনেকেরই পক্ষে অসুবিধে হবে তা উপলব্ধি করে এদিন দুপুরে জেলায় নেমে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রতে তাঁকে জেতানোর আহ্বান জানান তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে পদাতিক এক্সপ্রেস করে নিউ কোচবিহার স্টেশন এসে সেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী নামলে তাকে স্টেশন থেকে আনতে যান কোচবিহার জেলার সভাপতি মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র পঙ্কজ ঘোষ। সেখানেই বাইক মিছিল করে পরেশ অধিকারীকে স্বাগত জানানো হলে পরে সেই পঙ্কজ ঘোষের গাড়িতে করেই জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে উপস্থিত হন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের এই তৃণমূল প্রার্থী।

আর পরেশ অধিকারীকে স্বাগত জানানোর জন্য দলের নেতাকর্মীদের তেমনভাবে উচ্ছ্বাস না থাকলেও তৃণমূলের শিক্ষক নেতা দেবাশিস কর, নিরঞ্জন দত্ত, পরেশ বর্মন, পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষন সিং সহ বেশ কয়েকজন সেই পরেশ অধিকারীকে মালা দিয়ে স্বাগত জানান। তবে জেলা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের শরিরী ভাষাতেই এদিন স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা তেমন ভাবে কদিন আগেই বাম থেকে আসা বিগত বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারেননি।

এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জেলা তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী তাকে সেইভাবে স্বাগত না জানানোয় কিছুটা ক্লান্তির ছাপ দেখা গেছে সেই পরেশ অধিকারীর চোখে-মুখেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মত কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী জেলায় ফিরলে কেন সেখানে জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অনুপস্থিত থাকলেন?

কেন তার ছেলে পঙ্কজ ঘোষকে পাঠিয়ে সেই পরেশ অধিকারীকে স্বাগত জানালেন রবিবাবু তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। তাহলে কি জেলা তৃণমূল সভাপতিও এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে সেই ভাবে মেনে নিতে পারেননি? একাংশের মতে, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এই পরেশ অধিকারীর দাপটে কার্যত কোচবিহারে পা রাখা দায় ছিল বলে মত প্রকাশ করছেন তৃণমূলের একাংশ।

ফলে ক্ষমতায় আসতে না আসতেই পরেশ অধিকারীকে দলে গ্রহণ করে নেত্রী যেভাবে তাকে সরাসরি কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী করে দিলেন তাতে হতাশ জেলা তৃণমূলের দুর্দিনে থাকা নেতাকর্মীরা। সব মিলিয়ে এখন পুরনো কর্মীদের ক্ষোভকে প্রশমন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র দখলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টনিক আদৌ কাজে দেয় কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!