কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত আবার স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে ধরনা – তৃণমূলের দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত ঘিরে দিশেহারা নীচুতলা জাতীয় রাজ্য March 16, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যখন একদিকে স্বাগত জানাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখনই বিজেপির তরফ থেকে যখন রাজ্যের সমস্ত বুথকে স্পর্শকাতর করার দাবী জানানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাছে, ঠিক তখনই সেই বিজেপির এহেন নীতির বিরুদ্ধে ধরনা দিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের মহিলা সংগঠনকে। আর শাসক দলের এহেন দ্বিমতের নীতি ঘিরে এখন তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে এদিন রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “নির্বাচনে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবেই, আবার ভোটের পর চলেও যাবে। এতে আমাদের কোনো অসুবিধে নেই। বরঞ্চ যতবার বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে, ততবার তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ আরও বেশি করে সমর্থন করেছেন।” এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা ফিরহাদ হাকিম স্বাগত জানালেও বিজেপির পক্ষ থেকে যখন রাজ্যের সমস্ত বুথকে স্পর্শকাতর করার দাবী জানানো হচ্ছে, ঠিক তখনই বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসতে দেখা গেছে রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেত্রীদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি বলেন, “এখন দিলীপ দাকে দেখলেই দুঃখ হয়। রাজ্য বিজেপির অফিসটা শুধু সাইনবোর্ড হয়েই রয়ে গেল। সবই তো দিল্লী থেকে মুকুল রায় আর কৈলাশ বিজযবর্গী করছেন। কে কখন কবে জয়েন করবে বঙ্গ বিজেপি তার কিছুই জানে না। তাই বাধ্য হয়ে নানা রকম কথা বলে প্রাসঙ্গিক হতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ।” অন্যদিকে কেন্দ্র টাকা দিলেও রাজ্য তার নামে সমস্ত প্রকল্প চালাচ্ছে বলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে এদিন তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে পুরমন্ত্রী বলেন, “আগেও বলেছি, এখনও বলছি কেন্দ্রের টাকা কোন দয়া দাক্ষিণ্য নয়। আমাদের বিভিন্ন কাজে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আর দিলীপ ঘোষ কে? তিনি না কেন্দ্র, না রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। তার অস্তিত্ব কোথায়? তিনি তো একজন রিটায়ার্ড হার্ট রাজ্য সভাপতি।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির মত দলে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ছোট করে আদতে সেই বিজেপির ভেতরকার দ্বন্দ্ব উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সমালোচক মহলের একাংশ মনে করছে, তৃণমূলের মত বিজেপি একনায়কতান্ত্রিক দল নয়। তাই সেক্ষেত্রে ফিরহাদ হাকিম দিলীপ ঘোষকে খাটো করে অন্যান্য নেতাদের সম্মান বৃদ্ধি করে যতই বিজেপিকে ভাঙার চেষ্টা করুন না কেন, ওনার সেই চেষ্টা কখনোই যে সাফল্যের চূড়ান্ত মাত্রা ছুঁতে পারবে না সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল। আপনার মতামত জানান -