এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > তৃণমূলে বড়সড় দায়িত্ব পেয়েও কি পুরোপুরি খুশি নন ছত্রধর মাহাতো? নিজেই বাড়ালেন জল্পনা

তৃণমূলে বড়সড় দায়িত্ব পেয়েও কি পুরোপুরি খুশি নন ছত্রধর মাহাতো? নিজেই বাড়ালেন জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা পরিস্থিতিতেও রাজনৈতিক কর্মকান্ড থমকে থাকেনি।কি শাসক কি বিরোধী সব পক্ষ নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাছে সামনের ২০২১ এর বিধানসভা নিবার্চনকে কেন্দ্র করে। ইতিমধ্যে ২১ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি তাঁর মূল প্রতিপক্ষ।

ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের নিবার্চনকে লক্ষ্য রেখে সাংগঠনিক ব্যপক রদবদল করেছেন।একদা জঙ্গলমহলের জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতকে রাজ্য কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। তবে ছত্রধর মহাতো কি এতে খুশি? এই প্রসঙ্গে ছত্রধর বলেছেন, ”জেলার দায়িত্ব পেলে খুব ভাল হত। কারণ, এখানকার মানুষ চাইছেন। তবে পার্টি যে দায়িত্ব দেবে সেটাই তো নিতে হবে মাথা পেতে।’

তিনি আরও বলেন, ”তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। ২০০৮ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। জঙ্গলমহল আমাকে পরিচয় দিয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে সেটাই আমার বড় প্রাপ্তি।আমি নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় আসবে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে বিজেপি এই দুটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে।স্বভাবতই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই এই দুই স্থানে রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধারের জন্য ঘুঁটি সাজাছেন।প্রসঙ্গত বলা যায় যে ঝাড়গ্রামে প্রায় ৩৪ শতাংশ কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন রয়েছেন। ছত্রধর মাহাত ইতিমধ্যে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

যদিও এ নিয়ে বিরোধীরা মমতা সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।এছাড়া মমতা সরকার ইতিমধ্যে ছত্রধর মাহাতর স্ত্রী ও ছেলেকে চাকরি দিয়েছেন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছত্রধর মাহাতর উপর ভরসা করে ঝাড়গ্রাম দখল করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি।

তবে এইদিন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষ দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই সাংগঠনিক রদবদল করুন না কেন জঙ্গলমহলের মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করবে না।তিনি বলেন, জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তি চায়। কিন্তু মমতা সরকার পুলিশ দিয়ে উপ্তত করার চেষ্টা করছে।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ছত্রধর মাহাতকে রাজ্য কমিটিতে স্থান দিলেও তিনি আদতে খুশি নন তা তাঁর বক্তব্যের মধ্যে ধরা পড়েছে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।তবে কি শেষ পর্যন্ত ছত্রধর মাহাতকে দিয়ে জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারবে? সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!