এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল ছেড়ে যোগদান বিজেপিতে, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষের ঘরে তালা মেরে দিলো তৃণমূল

তৃণমূল ছেড়ে যোগদান বিজেপিতে, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষের ঘরে তালা মেরে দিলো তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার বিজেপির ছিল এক মহা যোগদান পর্ব। সেদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তৃণমূলের বেশকিছু তাবড় তাবড় হেভিওয়েট। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সেদিন অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূলের এক সাংসদ, কয়েকজন বিধায়ক ও বহু গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী। সেদিন শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ সমীরন মিত্র। গতকাল জেলা পরিষদ অফিসে তাঁর ঘরে তালা মেরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সঙ্গে হুগলি জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ সমীরন মিত্র তৃণমূল ছেড়ে যোগদান করেছেন বিজেপিতে। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের পর হুগলি জেলা পরিষদে তাঁর ঘরে তালা ঝুলতে দেখা গেল। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীরা তার ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তৃণমূল দল ত্যাগ করেছেন সমীরন মিত্র। তাই জেলা পরিষদের অধ্যক্ষের পদে থাকার তাঁর কোন নৈতিক অধিকার নেই। তাই এই ঘরেও প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি। তাই তাঁর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মীরা তাঁর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল কর্মীদের দাবি তৃণমূল ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগদান করায় এই পদে বসার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন তিনি। তবে, সমীরন মিত্র জানিয়েছেন যে, তৃণমূল যা করেছে, সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ কাজ একমাত্র সরকারি আধিকারিকেরাই করতে পারেন। কোন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কখনোই একাজ করতে পারে না। তিনি জানালেন, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। এ বিষয়ে কোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় কিনা? সে বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে।

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষের ঘরে এভাবে কখনোই তালা ঝুলিয়ে দিতে পারেনা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। একমাত্র সরকারি আধিকারিকেরা এটা করতে পারেন, সমস্ত নিয়ম মেনে। এ কাজ সরকারি আধিকারিকেরা ছাড়া অন্য কেউ করতে পারেন না। এভাবে জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ বিজেপিতে যোগদান করায় তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ দেখাল তৃণমূল শিবির। আগামী বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, আক্রোশ, হানাহানি ক্রমশই বাড়ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!