কংগ্রেসের ঘর ভাঙলে এখন আর কিছু যায় আসে না অধীর চৌধুরীর? মন্তব্যে জল্পনা তীব্র রাজ্য July 5, 2018 কংগ্রেস দলের কর্মী এবং সমর্থকেরা একজন একজন করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করছে। রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হলেও , এই ঘটনায় আদৌ বিচলিত নন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন ২০১১ সালের একটি খুনের মামলার শুনানিতে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বিশেষ আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একরকম ভাবলেসহীন ভাবেই তিনি এমন প্রতিক্রিয়া দেন। প্রসঙ্গতঃ ২০১১ সালে কংগ্রেসকে জোট সঙ্গী করে রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় আসে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই জোটের মেয়াদ ছিলো মাত্র এক বছর। এরপর থেকেই নানা সময়ে কংগ্রেস দলের বহু নেতা ও কর্মী বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেছে। দলীয় কর্মীদের অস্থির মতিকে স্থিতু করতে এবং দলের বিধায়কদের আসন পাকা করতে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে কংগ্রেস দল জয়ী বিধায়কদের কোর্ট পেপারে চুক্তি করিয়ে নেয় । কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। ২০১৬ সালের পরেও বহু তাবড় কংগ্রেস নেতা দল পরিবর্তন করে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের একমাত্র জেলা পরিষদ সদস্যও খুব শীঘ্রই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চলেছেন সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন কথা শুনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কোনও রাখঢাক না করেই বললেন, “কংগ্রেসের ঘর ভাঙছে তো আমার কি? আমার কোনও ঘর নেই।” এইভাবে দল ভাঙার প্রক্রিয়া জারী থাকলে প্রদেশ কংগ্রেসের ক্ষতি হবে কী না প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “একের পর এক জনপ্রতিনিধি যদি কংগ্রেস ছেড়ে চলে যায় তাহলে কংগ্রেসের ক্ষতি তো হবেই। লাভ হবে তো কখনও বলিনি।” দলের কর্মী ও সমর্থকদের দলে টিকিয়ে রাখতে সংগঠন মজবুত করতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানালেন। একই সঙ্গে দল ভাঙানো নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অধীর বাবু বললেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যদি স্বচ্ছতা এবং প্রকৃত রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন তাহলে যাদেরকে ভাঙাচ্ছেন তাদের পকেট থেকে কংগ্রেসের প্রতীক কেড়ে নিয়ে তৃণমূলের প্রতীক ভরে দিচ্ছেন না? অর্থাত্ নির্বাচন কেন করাচ্ছেন না?” আর এই নিয়েই শুরু জল্পনা কেননা তিনি অক্ষণকংগ্রেসের সভাপতি। আর কংগ্রেসের ঘর ভাঙা মানে তাঁর ঘর ভাঙা। তবে তিনি কেন বলছেন যে “কংগ্রেসের ঘর ভাঙছে তো আমার কি? ” তাছাড়া তিনি এখনো সরকারিভাবে কংগ্রেসে আছেন তবে ? ”আমার কোনও ঘর নেই।” কেন বললেন এই কথা উঠছে প্রশ্ন? কেননা কংগ্রেসের একের পর এক বিধায়ককে দলে টেনে নিচ্ছে তৃণমূল। যার জন্য তিনি দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন এর একটা বিহিত করতে। তৃণমূলের সাথে বাড়তি সখ্যতা না বাড়াতে। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই কি ক্ষিপ্ত? অপরদিকে জোর জল্পনা চলছেই যে তিনি বিজেপিতে আসছেন এবার। যদিও তা স্বীকার করেছেন প্রকাশ্যে। তবুও রানীতিতে কিছুই অসম্ভব নয়। তাই রাজনৈতিকমহলের ধারণে যে বিজেপিতে যাচ্ছেন তবে কি তারই ইঙ্গিত দিলেন এদিন ? আপনার মতামত জানান -