এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় >  সিপিএমের হঠাৎ দূরত্ব বৃদ্ধিই কি কংগ্রেস-তৃণমূল কাছাকাছি আসায় সীলমোহর দিতে চলেছে?

 সিপিএমের হঠাৎ দূরত্ব বৃদ্ধিই কি কংগ্রেস-তৃণমূল কাছাকাছি আসায় সীলমোহর দিতে চলেছে?

বিজেপিকে রুখতে ১৯’ এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে একছাতার তলায় এসে লড়াই করবে সিপিএম,এমনটাই বহুবার জানিয়েছেন বিমান বসু-রাহুল সিনহারা। কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ এবং গনতান্ত্রিক মতাদর্শকে সম্মান জানায় বামফ্রন্ট।

নিজেদের এরকম ভাবমূর্তিতে সামনে রাখার পর, কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর ডাকে দিল্লিতে সিবিআই সদর দপ্তরের সামনে মোদীসরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সিপিএমকে দেখা গেল না। এই নজির রীতিমতো হতবাক করেছে রাজনৈতিকমহলকে। অন্য মার্কসবাদী দল সিপিআই, প্রতিপক্ষ তৃণমূলকেও শেষ মুহূর্তে দেখা গিয়েছে মোদীবিরোধীতায় কংগ্রেসের পাশে সেখানে আলিমুদ্দিন কর্তাদের দেখা না পাওয়া নিয়েই স্বাভাবিক গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।

সিবিআই-এর আভ্যন্তরীন গোলযোগ সামনে আসায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে এক বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সিপিএম- এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম এ কদিন নেপাল সফরে থাকার দরুণ দিল্লির কর্মসূচিতে ছিলেন না বলেই জল্পনা।

তবে প্রকাশ করাত সহ দলের অন্যান্য কয়েকজন পলিটব্যুরোর সদস্য দিল্লির সদর দপ্তর এ কে গোপালন ভবনেই ছিলেন ওদিন। অন্যান্যরাও যোগাযোগের আওতায় থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের কর্মসূচিতে তাঁদের টিকিটিও দেখা যায়নি। কংগ্রেস সুপ্রিমো বিজেপি বিরোধী এবং কংগ্রেসের সমভাবাপন্ন সব রাজনৈতিক দলকেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগদানের বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

সিপিআই এবং তৃণমূল যোগ দিলেও সিপিএম নেতাদের দেখা যায়নি কর্মসূচিতে। যদিও কর্মসূচীটির ঘোষণা রাতারাতি হওয়ায় অনেকে বাম নেতাদের কাছে খবর পৌছায়নি বা বিশেষ কাজ বাইরে ছিলেন বলে দাবী করছেন আলিমুদ্দিন কর্তারা,তবুও আগেও এই ধরনের কোনও গুরুত্বপূর্ণ এবং তড়িঘড়ি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পলিটব্যুরোর সদস্যদের নিজেদের মধ্যে ফোনাফুনি করে নেওয়ার বহু নজির রয়েছে সিপিএমে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলেই খবর রয়েছে দলীয় সূত্রে।

প্রসঙ্গত,পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধেনি সিপিএম। সিপিআই কে তেলেঙ্গনায় কংগ্রেসের পাশে হাঁটলেও সিপিএমকে দেখা গিয়েছে উল্টো রাস্তায়। এই প্রেক্ষিতে এদিন ইয়েচুরির দলের এহেন আচরণ স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস সিপিএম-এর জোটের মুখে প্রশ্নচিহ্ন ফেলছে। রাফাল ইস্যুতেই মোদী বিরোধীতায় কংগ্রেসের পাশে সিপিএমকে দেখা গিয়েছিল। আর মাস কয়েকের ফেরে সিবিআই ইস্যুতে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সিপিএম-এর অনুপস্থিতি কতোটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অপর বাম সমর্থিত দল সিপিআই এর শীর্ষস্থানীয় নেতা এমপি ডি রাজা যেখানে রাহুল গান্ধীর পাশে রয়েছেন,সেখানে সিপিএম এর পলিটব্যুরোর সদস্যরা অন্য ছবি দেখালেন কেন তা নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। কংগ্রেস অবশ্য লোকসভা ভোটের আগে সমস্ত জল্পনাতেই জল ঢালতে চাইছে। কারণ দিন দুয়েক আগেই সিপিআই-এর ডাকা এক সমাবেশে কংগ্রেসের গোলাম নবি আজাদের পাশে দেখা গিয়েছিল সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমকে।

তবে এদিন কেন রাহুল গান্ধীর বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলার সিপিএম নেতৃত্বদের দেখা গেল না এ নিয়ে সেলিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন,কংগ্রেসের নিজস্ব বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল ওটা। বিরোধীদের যৌথভাবে আহ্বান করা হয়নি। কংগ্রেসের নিজস্ব কর্মসূচিতে অংশগ্রহন না করারটাকে তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান বলেই ব্যাখ্যা করলেন এই সিপিএম নেতা। সেলিমের এই যুক্তি আবার খন্ডন করলেন বাংলার নেতারা। বললেন,বিধানসভার নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর জনসভায় দেখা গিয়েছিলো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরপর প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকা তৃণমূল বিরোধী মিছিলে দেখা গিয়েছিল বাম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে। জেলাতেও কংগ্রেসের কর্মসূচিতে বামেদের প্রতিনিধিদের দেখা গিয়েছে। এসব যুক্তিকে সামনে রাখলেও লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মোদীবিরোধীতায় কংগ্রেসের পাশে একজনও সিপিএম-এর পলিটব্যুরোর সদস্যদের উপস্থিত থাকতে না দেখায় কংগ্রেস-সিপিএম এর সম্পর্কে প্রশ্নচিহ্ন ফেলছে। আর এই সুযোগে তৃণমূল যে কংগ্রেসের হাত ধরার সুযোগটাকে কাজে লাগাবে না,এটাকেও জোর গলায় বলা যাচ্ছে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!