এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলে গুরুত্ব নেই পরিশ্রম করা কর্মীদের! শীর্ষনেতার সামনেই তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠকে তুলকালাম

দলে গুরুত্ব নেই পরিশ্রম করা কর্মীদের! শীর্ষনেতার সামনেই তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠকে তুলকালাম

 

তৃনমূলে যে সমস্ত কর্মীরা কাজ করেন, সেই সমস্ত নীচুতলার কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। তবে দলের তরফে সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেও জানা গেছে। কিন্তু এবার পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের সামনেই তৃণমূলের কোর কমিটির মিটিংয়ে পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ছড়াতে শুরু করল।

সূত্রের খবর, এদিন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন প্রশ্ন করেন, লোকসভা ভোট পার হয়ে যাওয়ার পরও কেন শহরে কোনো কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না!

অন্যদিকে যুব তৃনমূলের অনেক সদস্যরা দলীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুমতি ছাড়াই নিজের এলাকায় বৈঠক করেছেন বলে সরব হন তৃণমূলের বিধায়ক। যা নিয়ে মিটিংয়ে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে দলীয় বিধায়ক থেকে প্রাক্তন সাংসদ, দলের ভূমিকা এবং কর্মসূচির অভাব নিয়ে গৌতম দেবের সামনেই প্রশ্ন যেমন ছুড়েছেন, ঠিক তেমনই এদিনের বৈঠকে হেভিওয়েট বিধায়কদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।

আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করা যায়, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানিয়ে দেন খগেশ্বর রায়।

অন্যদিকে তাঁকে মিটিংয়ের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সৌরভ চক্রবর্তী। তবে ঘটা করে গৌতম দেব এই বৈঠক করলেও তার সামনে দলীয় বিধায়কদের অসন্তোষজনক মন্তব্য রীতিমতো অস্বস্থিতে ফেলেছে তৃণমূলকে। এদিন এই প্রসঙ্গে এসজেডিএর চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, “সামনে পুরভোট। লোকসভা ভোট হয়ে গিয়েছে, অনেকদিন হয়ে গেল। অথচ শহরের বুকে দলের কোনো কর্মসূচি নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী বলেন, “এতদিন যারা নির্বাচন করে এলেন, তারাই এখন দলেই গুরুত্ব পাচ্ছেন না। কিছুদিন আগে যারা দলের পতাকাকে অবমাননা করলেন, তারাই আজ সামনের সারিতে। লোকসভা ভোটের পরে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এভাবে চললে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হবে। বিধানসভায় আমরা সাতটা আসনেই পরাজিত হব।”

অন্যদিকে যারা নির্বাচনে দলের হয়ে লড়াই করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে দল চলতে পারে না বলে জানিয়ে দেন মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলু চিকবরাইক। তবে এদিনের এই বৈঠক সম্পর্কে উত্তরবঙ্গ কমিটির তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি জেলায় মিটিং করছি। জনপ্রতিনিধিদের মিটিং করতে বলেছি। এদিনের নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। মিটিংয়ে আলোচিত বিষয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট দেব।”

তবে দলনেত্রীর কাছে গৌতমবাবু যে রিপোর্টই পেশ করুক না কেন, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের বৈঠক থেকেই পরিষ্কার, জেলা নেতৃত্বের কর্মসূচির অভাবে অত্যন্ত হতাশাজনক অবস্থায় রয়েছে। যা লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়কালে দলকে আরো মেরুদণ্ডহীন করে তুলছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে বের করতে গৌতম দেবের কাছে রিপোর্ট পেশ করে দলনেত্রী গৌতম বাবু কে নেত্রী ঠিক কি টনিক দেন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!