তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকের নির্যাসেও মুকুল রায়! তীব্র তরজা ঘাসফুল ও পদ্মফুল শিবিরের সমর্থকদের কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 25, 2019 আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের বর্ধিত কোর কমিটির সভায় দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দেন, রাজ্যে লোকসভা ভোটে ৪২ এ ৪২ টি আসনই চাই। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কোর কমিটির বৈঠকে দলের জন্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করে দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হলেও – বৈঠক শেষে আদতে তা হয়ে রইল ‘মুকুল-ময়’ বলে জোরালো দাবি গেরুয়া শিবিরের। কেননা, সেখানে দলভাঙ্গানো নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মুকুল রায়কে নাম না করে ফের ‘গদ্দার’ বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন যে, সবার ফোন নিয়ে রেখে দিয়েছে গদ্দারটা, সবাইকে ফোন করছে। আর বলছে কত টাকা লাগবে? একই সাথে তিনি দলীয় অনুগামীদের নিশ্চিত করেন যে, বিজেপি হাজার ‘লোভ’ দেখিয়েও কোনও ‘সুবিধা’ করতে পারবে না! যদিও এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত সরব মুকুল রায়ের অনুগামীরা। রীতিমত কটাক্ষের সুরে তাঁদের বক্তব্য, মুখে যতই ‘গদ্দার’ বলুন, আসলে মুকুল রায়ের অভাব প্রচন্ড ভাবে অনুভূত হচ্ছে দলটাতে! এখানেই শেষ নয়, তাঁদের আরও বক্তব্য, মুকুল রায় দল ছাড়ার পর তো নেত্রী মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন যেন প্রমান করতে যে – মুকুল রায় এল আর গেল তাতে কি হল! কিন্তু শেষ পর্যন্ত চুপ থাকতে পারলেন কই? কথায় কথায় গদ্দার-গদ্দার করেই তো স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী প্রমান করে দিচ্ছেন বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল রায়ের সরব উপস্থিতি রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তার থেকেও বড় কথা – সাধারণ মানুষ আর এই ‘গদ্দার’ কথাটা নিচ্ছেন না, কেননা শাসকদলে যাঁরা অন্যদল ভেঙে আসছেন তাঁরা তাহলে কি? সবথেকে বড় কথা, মুকুল রায় দল ছেড়েছিলেন – সাথে সাথেই কিন্তু তৃণমূলের সব পদ এবং সাংসদ পদ ছেড়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলে যাঁরা আসছেন, তাঁরা কিন্তু নিজেদের জনপ্রতিনিধির পদগুলি ছাড়ছেন না! সুতরাং মানুষ বুঝে গেছে আসল গদ্দার কে বা কারা! তবে, পাল্টা দিতে ছাড়ছেন না তৃণমূল সমর্থকরাও। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে। তার থেকেও বড় কথা, মমতা ব্যানার্জিই যে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী, তা নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের সব রাজ্য ছেড়ে বাংলায় বারবার ছুটে আসা থেকেই প্রমাণিত। এমনকি, কেন্দ্রের নীতির বিরোধিতা করার একমাত্র সাহস দেখিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীই, তাইতো সিবিআই পিছনে লাগানো হয়েছে। তৃণমূল নেত্রীর একের পর এক প্রকল্প – যেমন, কন্যাশ্রী, উৎকর্ষ বাংলা বা সবুজসাথী জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিয়েছে। সুতরাং, দেশ বাঁচানো নিয়েই তাঁরা বেশি চিন্তিত, কোনো ‘গদ্দারকে’ নিয়ে নয়! সবমিলিয়ে বলায় যায়, আজকের পর থেকেই রাজ্য-রাজনীতি তীব্রভাবে লোকসভা নির্বাচনের আবহে ঢুকে গেল – যার চিত্রটা স্পষ্ট হবে ইভিএম বাক্স খুললে। আপনার মতামত জানান -