তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, প্রবল চাঞ্চল্য রাজ্যে ! কলকাতা রাজ্য May 21, 2020 করোনা মহামারীর মধ্যে ত্রাণ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে মহামারীর এই পরিস্থিতিতে এবার ত্রান বিলিকে কেন্দ্র করে আক্রান্ত হওয়া তৃণমূল কর্মী সৌমেন দাস অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। যার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। প্রসঙ্গত, গত 4 মে সোমবার রাতে কামারহাটি পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেলঘরিয়া বাসুদেবপুর এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত একদল যুবক পাড়ার কয়েকজন দুস্থদের ত্রাণ বিলি করছিল। অভিযোগ, সেই সময় পাড়ার ছেলেদের কাউন্সিলর রুপালী সরকার বলেন, আমি থাকতে তোরা কেন এখানে ত্রান দিচ্ছিস। সৌমেন দাস নামে এক তৃণমূলকর্মী তখন বলেন যে, আমরা নিজেরাই অল্প কিছু জোগাড় করতে পেরেছি তাই সেগুলই বিলি করছি। আপনি যা দেবেন সেটাও ওনাদের কাজে লাগবে। এই কথা শুনে রেগে গিয়েই কাউন্সিলর রুপালী সরকার সৌমেনের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাতে শুরু করেন, তারপর তার সাথে থাকা ছেলেরা বাঁশ, লাঠি ও রড দিয়ে ব্যপক মারধর করে বলে অভিযোগ করেন সৌমেনের মা অনিতা দাস। তারপর তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকেই আশা করেছিলেন, অবশেষে তিনি হয়ত বেঁচে উঠবেন। কিন্তু না, মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তার। এদিকে সৌমেন দাসের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সরব হতে শুরু করেন। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য যেভাবে তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তার অনুগামীদের পক্ষ থেকে মারধর করা হল এক তৃনমূল কর্মীকে এবং তার ফলে মৃত্যু হলো এক তরতাজা যুবকের তা নিয়ে এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর রুপালি সরকারকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন সকলে যদি ও বা রুপালি জানিয়েছেন তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। এদিকে এই ঘটনায় সৌমেন দাসের মা বলেন, “আমার থেকে 100 টাকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ায় কাকিমাদের ত্রান বিলি করতে গিয়েছিল। ওখানকার লোকেরা আমাকে ফোন করে বলে, তোমার ছেলেকে রুপালী সরকার ও তার দল মেরে মাটিতে শুয়ে দিয়েছে। আমি চাই, যারা মেরেছে তাদের ফাঁসি হোক।” তবে এই ঘটনায় আইন আইনের পথেই চলবে বলে জানিয়েছেন কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ত্রাণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের হাতেই তৃণমূলের এক কর্মীর মৃত্যু শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এনে দিল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -